ফিচার

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কী করবেন?

বিশ্বজুড়ে বেপরোয়া বাড়ছে করোনা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যতোটা সম্ভব ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মারণ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সবখানে চলছে লকডাউনের জোরদার লড়াই। ডেল্টা করোনার বিস্তার ঠেকাতে বাংলাদেশেও লকডাউন মেনে চলছে। যদিও ঈদ উপলক্ষে সপ্তাহখানেক শিথিল করে দেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ।

Advertisement

সবার ঘরেই কমবেশি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকে। তবে এ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোনো তথ্য জানা নেই! মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কতটা নষ্ট হয়? ধরুন, হঠাৎ আপনার প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা হলো। আপনি খুঁজতে গিয়ে ড্রয়ারে দেখলেন প্যারাসিটামল আছে। যার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এক বছর আগে পার হয়ে গেছে। এখন কী করবেন? মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেলে কী হয়? এই ওষুধ খাবেন না-কি খাবেন না? খেলে কি অসুস্থ হয়ে পড়বেন? মাথাব্যথা সারবে তো?

এমন ধরনের নানান প্রশ্ন প্রায় সব মানুষের মনেই ঘুরপাক খায়। মানুষের মনে বিভ্রান্তি, সংশয় দেখা দেয়। অনেকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নির্ধারণ করাটা কতটুকু সততা ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়? সত্যিই কি ওষুধের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের পর নষ্ট হয়ে যায়? আসুন, বিষয়টা জেনে নেয়া যাক।

ওষুধ কতদিন কার্যকর থাকে?

Advertisement

গবেষকরা জানান, ওষুধ কোনো ম্যাজিক নয়। ওষুধের কাজ হলো রোগ সারানো। কতকগুলো উপাদান দিয়ে তৈরি হয় ওষুধ। ওষুধ তৈরির উপদানেই আছে মারাত্মক সব বিষ। ধরা যাক, প্যারাসিটামল ৫০০। ওষুধের গায়ে ৫০০ এমজি লেখা। তাই বলে এই ওষুধে ঠিকঠাক ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল থাকে কি? জি, না।

ওষুধে ৪৯০ থেকে ৫১০ মিলিগ্রামের মধ্যে প্যারাসিটামল থাকে। এখন সিরাপ হলে এর মধ্যে রং বা গন্ধ, ফ্লেভার মেশানো হয়। আবার ট্যাবলেট হলে শক্ত করার জন্য আঁঠা মিশিয়ে উচ্চ চাপে ট্যাবলেট তৈরি করা হয়। ওষুধ মানেই তার মধ্যে রাসায়নিক, ফিজিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল গুণ থাকবে।

গবেষকরা বলেন, ‘একটি ওষুধ কতদিন কার্যকরী থাকবে তা আসলে একটা অঙ্কের মতো। যেহেতু ওষুধে নানাবিধ রাসায়নিক দ্রব্য থাকে, সেহেতু একটা সময়ের পর দেখা যায় ওই ওষুধের টক্সিক প্রভাব অর্থাৎ বিষাক্ত গুণাগুন বাড়তে থাকে।’

সেই কারণেই ওষুধের গায়ে কতদিনের মধ্যে ওষুধ খেতে হবে তা লেখা থাকে। এটার মানে ওষুধের সেই কম্পোজিশনগুলো কতদিন ঠিক থাকবে তার ঘোষণা। একে বলে এক্সপায়ারি ডেট। সহজ ভাষায়, এক্সপায়ারি ডেট হলো একটা ওষুধের কার্যকরী থাকার নির্দিষ্ট সময়।

Advertisement

যার মানে ধরে নেওয়া হয়, এরপর ওই ওষুধ খারাপ হয়ে যায়। সব ওষুধেরই এক্সপায়ারি ডেট থাকে। সঙ্গে থাকে সাবধানবাণী। ইঞ্জেকশন, ট্যাবলেট, ওয়েন্টমেন্ট, স্প্রে ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘ওই তারিখটা পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই ওষুধ খেলে ক্ষতি হতে পারে।’

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মানে বিষ

যে ওষুধ মানুষের জীবন রক্ষা করে, সেই ওষুধ যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়, তাহলে তা কি মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারবে? সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, নাইট্রোগ্লিসারিন, ইনসুলিন, তরল অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কিছু সংবেদনশীল ওষুধ ছাড়া বেশিরভাগ ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের পরও কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা অনেকদিন ঠিক থাকে।

গবেষকরা জানান, ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার দু’ সপ্তাহ পরেও ওই ওষুধ হয়তো ব্যবহার করা চলে। তবে দুই বছর পরে অবশ্যই নয়।’ তরল জাতীয় ওষুধ, যেমন-চোখের ড্রপ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে ওতে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে। ফয়েলে মোড়ানো ট্যাবলেট নতুন করে সিল করা সম্ভব নয়, তাতে ট্যাবলেট স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে উঠতে পারে।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে-এর কার্যকরী উপাদানের ৯৫ ভাগই থাকেনা। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মানেই বিষ। ওষুধের গুণগত মান তখনও যতই ভালো থাকুক। যেহেতু যাচাই করার মতো পরিকাঠামো সাধারণ মানুষের কাছে নেই। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ না খাওয়াই ভালো।’ অতএব আপনার আধখানা অ্যাসপিরিন চলে গেলে বাকি অর্ধেক অবশ্যই দ্রুত ফেলে দেবেন।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে কি সমস্যা?

শরীর বিজ্ঞানীদের মতে, ‘পৃথিবীতে এমন কোনো ওষুধ নেই, যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রত্যেক ওষুধেরই ভালো গুণ, খারাপ গুণ রয়েছে। দেখতে হবে ওষুধের ভালো গুণটা কার্যকর থাকছে কী না।’ ধরা যাক আপনার মাথা ব্যথা। আপনি ওষুধ খাচ্ছেন। এই ওষুধ রক্তের সঙ্গে মিশে ওই ব্যথার জায়গায় গিয়ে কাজ করে। আবার ইঞ্জেকশন নিলেও একই ব্যাপার ঘটে।

অতএব এক্সটারনাল হোক বা ইন্টারনাল। একবার ওষুধের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে আর তা কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয়। বিশেষ করে ইন্টারনাল মেডিসিন বা রক্তের সঙ্গে সরাসরি যে ওষুধগুলো মিশে; সেগুলোর মেয়াদ ফুরানোর পর ব্যবহার করলে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। এক্সটারনাল মেডিসিন বা ট্যাবলেট, মলমের ক্ষেত্রেও মেয়াদ ফুরোলে ব্যবহার করা উচিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘এক্সপায়ারি ডেটের পর কেমিক্যাল উপাদানগুলো নানাবিধ বিক্রিয়ায় অন্য উপাদান তৈরি করে। ফলে ভুল করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেলে গায়ে র্যাশ বের হওয়া ছাড়াও মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং পাকস্থলীর ব্যথা হওয়ার মতো অন্যান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া খুব সাধারণ বিষয়। কিডনি, হার্টেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি অন্ধ-বধির হওয়া এবং মৃত্যুর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না!’

গবেষকরা বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক হলে তা তৈরি করতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু।’ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে প্রয়োজনের চেয়ে কম মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে পুরোপুরি না মেরে দূর্বল করে দেবে। জীবিত ব্যাকটেরিয়াগুলো তখন সেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে টিকে থাকার পদ্ধতি শিখে যাবে এবং তার সমসাময়িক ও পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাকটেরিয়াদেরও এই কৌশল শিখিয়ে যাবে।

ফলে সেই অ্যান্টিবায়োটিক আপনার শরীরে পরবর্তীতে আর কার্যকরী হবে না। আবার, এসব কৌশল শিখে যাওয়া ব্যাকটেরিয়া অন্য কারো শরীরে সংক্রমণ ঘটালে তার ক্ষেত্রেও সেই অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। তৈরি হবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা চরম আশঙ্কায় আছেন।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে চিনবেন?

ঘরে সিল খোলা ওষুধ থাকা উচিত নয়। এর ফলে ওষুধের অপব্যবহার হয়। অনেক সময় দেখা যায় সিল অটুট থাকা অবস্থাতেও ট্যাবলেট ভেঙে গেছে। ওষুধ গুঁড়ো হয়ে গেছে। রং পাল্টে গেছে। কোনো রকম সন্দেহ হলে সেই ওষুধ ব্যবহার করবেন না। পাল্টে নিন। এমনকি প্যাকেটের প্রথম ট্যাবলেট খুলতেই ভাঙা বের হলে দোকানে গিয়ে পাল্টে নেওয়াই ভালো। বাসায় থাকা পুরনো ওষুধ সব সময় খাওয়ার আগে এর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে নিতে ভুলবেন না।

ধরা যাক, চিকিৎসক প্রেসক্রাইব করলেন পাঁচদিনের ওষুধ। বাচ্চাদের সাসপেনশনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দেখা যায় একটা বোতল কিনলে চারদিন যায়। দু’টো কিনলে পাঁচ দিনের বেশি। সেক্ষেত্রে পাঁচ দিনের ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে ওই বাড়তি ওষুধ কী করবেন? ফেলে দেবেন নাকি রাখবেন?

গবেষকদের ভাষ্যমতে, ‘পিঠাপিঠিতে কারও একই রোগ হলে তবুও ব্যবহার করা যায়। তবুও একবার বোতল খুললে, সেটা পুনরায় ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো। কারণ সিলড বোতল এক্সপায়ারি ডেট পার হওয়াপর আগে পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। খোলা বোতলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে যায় আগেই।’

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কোথায় পাবেন?

ওষুধের ফার্মেসি বা দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণের ওষুধ কেনার সম্ভাবনা কম। কারণ ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা কোম্পানিকে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং তার বদলে নতুন ওষুধ আনা হয়। তবুও অনেক অসাধু ফার্মেসী মানুষকে ঠকাতে এমন অপকর্ম করে। এই সমস্যা বেশি হয় গ্রামের ফার্মেসিগুলোয়। আজকাল বিভিন্ন স্থানে মুদি কিংবা মোবাইল রিচার্জের দোকানেও পাওয়া যায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ।

এসব দোকানিরা তাদের মূল ব্যবসার পাশাপাশি অতি লাভের লোভে বেনামি ও অতি নিম্নমানের ওষুধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও বিক্রি করে। বেশিরভাগেরই নেই ফার্মেসির বৈধ কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা বা ট্রেনিং। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে থাকা সব মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে কালেভদ্রে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পরীক্ষা শুধু নয়, ওষুধ তৈরিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, মনিটরিং আসলে কতোটা হচ্ছে?

করোনাকালে সেই প্রশ্নও ক্রেতাদের মনে রয়ে যায়। সাধারণ মানুষ ওষুধ কেনার ব্যাপারে সচেতন নয়। তারা ভাবতেও পারে না, ওষুধের দোকানি তাকে ওষুধের বদলে বিষ বিক্রি করবে। তারা সরল বিশ্বাসে ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে খায়।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থেকে বাঁচতে হলে

বাংলাদেশের অনেকেই জানে না কোথায় ওষুধের মেয়াদ বা ডেট দেওয়া থাকে? কীভাবে এটা জানা যায়? প্যাকেটজাত ওষুধ যেমন: সিরাপ বা সাসপেনশান, ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুলের পুরো বাক্স কেনার সময় উৎপাদনের মাস এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার মাস বক্সের গায়ে ও ওষুধের স্ট্রিপের গায়ে উল্লেখ করা থাকে। দোকান থেকে সম্পূর্ণ স্ট্রিপ বা ওষুধের পাতা না কিনলে দোকানদার পূর্ণ স্ট্রিপ থেকে কেটে কয়েকটা দেন।

যে স্ট্রিপ থেকে কেটে দেন, কাটার আগে দোকানদারের হাত থেকে নিয়ে চেক করুন, ওষুধের স্ট্রিপ এর গায়ে উপরে বা নিচের অংশে স্পষ্ট উঁচু অক্ষরে কিছু ইংরেজি সংখ্যা এবং অক্ষরে ওই ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণের সময়কাল ইংরেজিতে লেখা আছে। প্রথম দু’টো সংখ্যা মাস কে বুঝায়, পরের দু’টো সংখ্যা বছর বুঝায়। তাই অবশ্যই আগে এটা দেখে মেয়াদ সম্পর্কে যাচাই বাছাই করে ওষুধ কিনুন।

সাবধানের মার নেই

করোনাভাইরাস সংক্রমনে রোগীর ভীড়ে এখন বেড়ে গেছে হাসপাতাল, ডাক্তারের ব্যস্ততা। মানুষ সহজে হাসপাতাল, ফার্মেসীমুখো হতে চায় না। করোনায় সাবধানের মার রাখতে চাইছেন না কেউই। ওষুধের ফার্মেসী, দোকানগুলোতেও প্রচন্ড ভীড় ও তাড়াহুড়ো। লকডাউনে বদলে গেছে আমাদের প্রয়োজনের তালিকাও।

ঘরে বসে টুকটাক নানান শারীরিক সমস্যা গা সহা হয়ে গেছে। নিয়মিত যাদের ওষুধ খেতে হয়, তারা হয়তো এক মাসের ওষুধ কিনে রেখে সেই ওষুধ খান। তাদের মাঝে-মধ্যে ওষুধগুলো পরীক্ষা করা উচিত। কাজটা প্রতি সপ্তাহে করতে পারলে ভালো। অন্তত মাসে একবার অবশ্যই করা উচিত।

তা না হলে প্রয়োজনের সময় দেখা যাবে ওষুধের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। তখন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে। যদি দেখেন কোনো ওষুধের সিরাপ বা বোতলের পদার্থ ঘোলাটে কিংবা রং বদলে গেছে তবে বুঝে নেবেন ওটা নষ্ট হয়ে গেছে কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে কোন মায়া-মমতা করবেন না। ওষুধগুলো ফেলে নিন।

মনে রাখবেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ শুধু মানুষের স্বাস্থ্যগত ক্ষতিই করে না, এগুলো সমাজ ও পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর জঞ্জাল। যদি কোনো ওষুধের ফার্মেসী দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে, তবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন। এতে করে মহামারির এ সময় রক্ষা পাবে অনেক মানুষের অকাল মরণ।

লেখক: বিজ্ঞান লেখক ও গবেষক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

জেএমএস/এমকেএইচ