ম্যাচ জিততে ছয় বলে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। স্ট্রাইকে বর্তমান সময়ের অন্যতম মারকুটে ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল, বোলিংয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার মিচেল স্টার্ক। এ দুই সেরার লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসলেন একের পর এক আগুনের গোলা ছুড়ে মারা বাঁহাতি পেসার স্টার্ক।
Advertisement
শেষ ওভারটিতে প্রত্যেকটি ডেলিভারি ঘণ্টায় ১৪০ কিমির বেশি গতিবেগে করেছেন স্টার্ক। যার মধ্যে প্রথম পাঁচটিতে কোনো রানই নিতে পারেননি রাসেল। চাইলে সিঙ্গেল নিতে পারতেন। কিন্তু স্ট্রাইক হাতছাড়া করতে চাননি বিধায় ডট খেলেন টানা ৫টি।
এরপর শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি রাসেল। শেষ ওভারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ৪ রানের নাটকীয় জয় এনে দিয়েছেন স্টার্ক। অথচ তার আগের ওভারেই ৪ ছক্কার মারে ২৫ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পৌঁছে গিয়েছিল জয়ের দ্বারপ্রান্তে। শেষ পর্যন্ত পারলেন না রাসেল।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি জিতে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিক ক্যারিবীয়রা। বৃহস্পতিবার ভোরে হওয়া ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে জয়ের আশা জাগিয়েও ১৮৫ রানে থেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
Advertisement
অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার পুরো কৃতিত্ব অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও তিন নম্বরে নামা পেস বোলিং অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের। এ দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৫৮ বলে যোগ করেছেন ১১৪ রান। ইনিংসের ১২তম ওভারে ফিঞ্চ যখন আউট হন দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৬ রান।
দলকে ভালো অবস্থায় পৌঁছে দিয়ে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৩৭ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। এরপর টেনে নেন মার্শ। তার ব্যাট থেকে আসে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস। মাত্র ৪৪ বলের ইনিংসে ৪ চারের সঙ্গে ৬ চার হাঁকান তিনি।
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে শেষ দিকে ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের ১৪ বলে ২২ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩ উইকেট নেন হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।
রান তাড়া করতে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৪.৫ ওভারে ৬২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ১৪ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ের ৩১ রান করে ফেরেন এভিন লুইস। অপরপ্রান্তে তাণ্ডব চালিয়ে যান আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন। কিন্তু হতাশ করেন ক্রিস গেইল (১), আন্দ্রে ফ্লেচার (৬), নিকোলাস পুরানরা (১৬)।
Advertisement
প্রায় একার লড়াইয়ে দলকে জয়ের কক্ষে রাখেন সিমনস। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ৪৮ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ের মারে ৭২ রান করে আউট হন তিনি। তখনও জয়ের জন্য ২৭ বলে ৫৮ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। যা একপর্যায়ে ১২ বলে ২৬ রানে পরিণত হয়।
রিলে মেরেডিথের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান রাসেল। এরপর সিঙ্গেল নিয়ে দেন অ্যালেনকে। পরপর তিন বলে তিনটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ নিজেদের পক্ষে আনেন অ্যালেন। কিন্তু শেষ বলে কট বিহাইন্ড হওয়ায় সমাপ্তি ঘটে তার ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংসের।
শেষ ওভারে বাকি থাকা ১১ রান আর করা সম্ভব হয়নি রাসেলের পক্ষে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাঁচটি ডট দিয়ে নিজ দলকে ৪ রানের জয় এনে দিয়েছেন স্টার্ক।
এসএএস/এমকেএইচ