খেলাধুলা

জিরুডের হ্যাটট্রিকে শেষ ষোলয় আর্সেনাল

অলিভিয়ের জিরুড। ফরাসি এই তারকার জ্বলে ওঠাতে উড়ে গেলো গ্রীক চ্যাম্পিয়ন অলিম্পিয়াকস। জিরুডের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে কোনমতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল নিশ্চিত করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব আর্সেনাল। ‘এফ’ গ্রুপে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল বায়ার্ন মিউনিখ। ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে সমান অবস্থানে আর্সেনাল এবং অলিম্পিয়াকস। তবে হেড টু হেডে এগিয়ে থেকেই শেষ ষোল নিশ্চিত করলো আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা।চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ধরে নিয়েই এথেন্সে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। কারণ, ৫ ম্যাচ থেকে তাদের অর্জণ ছিল ৬ পয়েন্ট। ৯ পয়েন্ট নিয়ে বেশ এগিয়েছিল অলিম্পিয়াকস। তারওপর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গেলো গানাররা। কিন্তু কে জানত, এভাবে জ্বলে উঠবেন অলিভিয়ের জিরুড!সর্বশেষ ৫ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরেছিল আর্সেনাল। দলটির ভেতরকার অবস্থা বলতে গেলে একেবারে তথৈবচ। এমন পরিস্থিতিতে গ্রিসে গিয়ে জয় শুধু গানারদের শেষ ষোলয় তোলেনি, আত্মবিশ্বাসটাও দারুনভাবে ফিরিয়ে দিল। শেষ ষোলয় যেতে হলে আর্সেনালকে কম করে গলেও দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো। এ অবস্থান মূল দলের সাতজন খেলোয়াড়ই ইনজুরিতে। এ অবস্থায় গোড়ালির সমস্যা থেকে মাত্রই সেরে ওঠা থিও ওয়ালকটকে দলে নেন ওয়েঙ্গার। কিন্তু অলিভিয়ের জিরুড যে এতটা অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়ে দেবেন সেটা ওয়েঙ্গারই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না।ম্যাচের ২৯তম মিনিটে অলিম্পিয়াকসের গোলের তালা খোলেন জিরুড। অ্যারোন রামসির ক্রস থেকে দারুন এক হেডে গোল করেন তিনি। ১-০ গোলের ব্যবধান নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর একটু পরই, ৪৯ মিনিটে জোয়েল ক্যাম্পবেলের পাস থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের শটে স্বাগতিকদের জালে বল জড়ান জিরুড।খেলার ৬৬ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে বলে হাত লাগিয়ে ফেলেন স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার ওমর এল আবদুল্লায়ি। সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড এবং একই সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশিও বাজান রেফারি। স্পট কিক নিতে আসেন জিরুডই। বাম পায়ের দুর্দান্ত শটে শেষ পর্যন্ত অলিম্পিয়াকসের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। আর্সেনালের জালে বল জড়ানোর আপ্রান চেষ্টা করে অলিম্পিয়াকস। কিন্তু কোনটিতেই সফল হলো না তারা। আর্সেনালের পোস্ট লক্ষ্যে ১১টি শট নিয়ে একটিও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। অথচ, আর্সেনাল নিয়েছিল ৯টি শট। যার তিনটিই কাজে লেগে গেলো।  আইএইচএস/পিআর

Advertisement