এক ভদ্রমহিলা চিকিৎসকের কাছে গেলেন- ভদ্রমহিলা : ডাক্তার সাহেব, আমার দুটো কান পুড়ে গেছে। চিকিৎসক : হুম, দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কীভাবে পুড়ল? ভদ্রমহিলা : আমি আমার স্বামীর শার্ট ইস্ত্রি করছিলাম। হঠাৎ ফোন এল। আমি ফোন না তুলে ভুল করে ইস্ত্রিটা তুলে কানে লাগিয়ে ফেলেছিলাম। চিকিৎসক : বুঝলাম, কিন্তু অন্য কানটা পুড়ল কীভাবে? ভদ্রমহিলা : লোকটা যে আবারও ফোন করেছিল!****কফি শপে বসে আছে জাহিদ। হঠাৎ ক্রিং ক্রিং-জাহিদ : হ্যালো। ভদ্রমহিলা : অ্যাই শোনো না, গতকাল যে শাড়িটা ১০ হাজার টাকা চাইছিল, আজ সেটা সাড়ে নয় হাজারে দিচ্ছে। শাড়িটা কি কিনে ফেলব? জাহিদ : অবশ্যই। ভদ্রমহিলা : আর আমার প্রিয় গহনার দোকানটা ১৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করছে। গত মাসে যে নেকলেসটা কেনা হয়নি, সেটা এবার কিনব? জাহিদ : অবশ্যই। ভদ্রমহিলা : ওহ! তুমি না একটা সুইট হাসব্যান্ড। তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো। রাতে তোমায় দেখাব, আজ কী কী কিনলাম। রাখছি।হঠাৎ একজন দৌঁড়ে এসে জাহিদকে বলল, আমি এখানে বসেছিলাম একটু আগে, আমার ফোনটা ফেলে গিয়েছি। আপনি কি দেখেছেন? আসলে আমার স্ত্রীর ফোন করার কথা ছিল, ও শপিংয়ে গেছে। আমি ফোন না ধরলে ও চিন্তা করবে। সমীর ওই ভদ্রলোকের হাতে ফোনটা দিয়ে বলল, না আপনার স্ত্রী চিন্তা করবে না। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।****মহিনকে তার প্রেমিকা ফোন করেছে। শুরুতেই ধমক দিয়ে-প্রেমিকা : এই! মোবাইল থাকতে তুমি আমাকে চিঠি পাঠিয়েছ কেন? যদি বাবার হাতে পড়ে যেত? মহিন : তোমাকে ফোন করেছিলাম তো! একটা মহিলা কণ্ঠ বলল, ‘প্লিজ, ট্রাই লেটার’। তাই লেটার পাঠানোর ট্রাই করলাম!****একবার রাখির মোবাইলে অপরিচিত এক নম্বর থেকে একটা কল এল- অপর প্রান্ত: তোমার কি কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে? রাখি : হ্যাঁ, আছে, তুমি কে? অপর প্রান্ত : আমি তোর বড় ভাই! তোর হচ্ছে প্রেম করা! আমি বাড়ি ফিরে তোর মজা দেখাচ্ছি! রাখি তো চিন্তায় অস্থির! কিছুক্ষণ পর রাখির মোবাইলে আবার একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এল। অপর প্রান্ত : তোমার কি কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে? রাখি : না না, কেউ নেই! আমি সিঙ্গেল! অপর প্রান্ত : কী? আমি তোমার বয়ফ্রেন্ড রাজ, চিনতে পারছ না? সবাইকে তাহলে এই বলে বেড়াও? রাখি : না না, রাজ, আই অ্যাম স্যরি। আমি ভেবেছি তুমি আমার বড় ভাই! রাগ করে না, প্লিজ! অপর প্রান্ত : হ্যাঁ, তুই ঠিক ধরেছিস! আমি তোর দাদা! তোর হচ্ছে প্রেম করা! আমি বাড়ি ফিরে তোর মজা দেখাচ্ছি!এসইউ/পিআর
Advertisement