করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৬২৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪১ হাজার ৭৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১২ হাজার ১৯৮ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জনে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯টি।
এর আগে গতকাল সোমবার ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ২০৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
২০৩ জনের মধ্যে ১৩২ জন পুরুষ ও ৭১ জন নারী। ২০৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৪ এবং বাসায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত রোববার মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ। গতকাল সোমবার মারা যান ২২০ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাত হাজার ৬৪৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ৮৯ হাজার ১৬৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০৩ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১৮ জন।
Advertisement
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৬১ জন, চট্টগ্রামে ৩০ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন, খুলনায় ৫৩ জন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে পাঁচজন, রংপুরে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।
বিএ