জাতীয়

করোনায় আজও দুই শতাধিক মৃত্যু

মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ২০৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১২ হাজার ১৯৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জন।

এর আগে গত রোববার মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। যা একদিনে সর্বোচ্চ। গতকাল সোমবার মারা যান ২২০ জন।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০৩ জনের মধ্যে ১৩২ জন পুরুষ ও ৭১ জন নারী। ২০৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৪ জন এবং বাসায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬২৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪৩ হাজার ৬৩১টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪১ হাজার ৭৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাত হাজার ৬৪৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ৮৯ হাজার ১৬৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০৩ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১৮ জন রয়েছেন।

বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৬১ জন, চট্টগ্রামে ৩০ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন, খুলনায় ৫৩ জন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে পাঁচজন, রংপুরে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজন রয়েছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।

এমইউ/বিএ