প্রতিনিয়তেই আপডেট হচ্ছে ক্রিকেট। নতুন নতুন ফরম্যাট, নতুন নতুন নিয়ম- ক্রিকেট যেন একটি খেলাই নয় শুধু, চলমান প্রক্রিয়া। এই যেমন টেস্ট থেকে ওয়ানডে, এরপর টি-টোয়েন্টি। এরপর এলো টি-টেন। এবার খেলা হবে দ্য হান্ড্রেড। ১০০ বলের ক্রিকেট। পুরনো নিয়মের কোনো বালাই থাকছে না নতুন শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে।
Advertisement
সবচেয়ে বড় বিষয়, দ্য হান্ড্রেডে এতদিনের সব হিসাব-নিকাশই পাল্টে ফেলা হচ্ছে। ৬ বলের পরিবর্তে এখানে ওভার গণনা করা হবে ৫ বলে। যারা ব্যাট করবেন, তাদের ব্যাটসম্যান বলা হবে না। বলা হবে ‘ব্যাটার’। আরো কত কিছু...! বেশ কিছু নতুন নিয়মের অবতারণা করা হচ্ছে এই টুর্নামেন্টে।
আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের মস্তিষ্কপ্রসূত ১০০ বলের টুর্নামেন্ট ‘দ্য় হান্ড্রেড’। এই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়েই প্রথমবার ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস-এর ব্যবহার করা হবে।
সবচেয়ে বড় কথা, সাম্প্রতিক সময়ে নারী ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বিশেষত, ‘ব্যাটসম্যান’ শব্দটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। সে কারণে শব্দটাই সম্পূর্ণ মুছে দেয়া হচ্ছে। ধারভাষ্যকাররা পুরষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই ‘ব্যাটার্স’ শব্দটি ব্যবহার করবেন।
Advertisement
এবার এক নজরে দেখে নিন দ্য হান্ড্রেডের নতুন নিয়মাবলী
১) ওভার-এর পরিবর্তে বলের মাধ্যমে ইনিংসের গতিবিধি পরিমাপ করা হবে।
২) একজন বোলার পাঁচ বল করার পর আম্পায়াররা ‘ফাইভ’ বলে সেটিকে সম্বোধন করবে। পাশাপাশি একই দিক থেকে টানা ৬টির বদলে ১০টি বল করা হবে এবং চাইলে একজন বোলরাই সেই ১০টি বল করতে পারবেন। পাঁচ বল শেষ হলে তা চিহ্নিত করার জন্য আম্পায়রা সাদা কার্ডের ব্যবহার করবেন।
৩) টস সবার সামনে, পিচে নাও হতে পারে।
Advertisement
৪) ১০০’র মধ্য়ে প্রথম ২৫ বল পাওয়ার প্লে হিসেবে গণ্য হবে। পাওয়ার প্লের পর বোলিং দল পানি পানের বিরতির জন্য যে কোন সময়ে দুই মিনিটের টাইম আউট নিতে পারবে।
৫) ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রে নন-স্ট্রাইকার আউট হওয়া ব্যাটসম্যানকে ক্রস করে গেলেও নতুন ব্যাটসম্যানকেই স্ট্রাইক নিতে হবে।
৬) গ্রুপ পর্যায়ে ম্যাচ টাই হলে দুই দলই এক পয়েন্ট করে পাবে। তবে নক আউট পর্বে ফলাফল ‘সুপার ফাইভ’ (পাঁচ বল)- এর মাধ্যমে নির্ধারণ কর হবে।
‘সুপার ফাইভ’-এর পরেও ম্যাচ টাই থাকলে দ্বিতীয়বার ‘সুপার ফাইভ’ হবে। তারপরেও ম্যাচ অমীমাংসিত থাকলে গ্রুপ পর্যায়ে তালিকায় ওপরে থাকা দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
৭) বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে চলেছে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মেও।
৮) প্রথমবার ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস ব্যবহার করা হবে এবং ‘নো বল’ নির্ধারণের দায়িত্ব থাকবে তৃতীয় আম্পায়ারের কাঁধে।
৯) সম্প্রচারের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন দু’টি করে ম্যাচ খেলা হলেও প্রতিটি ম্যাচের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে। যাতে দু’টি ম্যাচেরই সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন সংঘর্ষের সৃষ্টি না হয়।
১০) যদি কোনো দল ওভার রেটে পিছিয়ে থাকে, তাহলে সেই দলকে শাস্তির সময় থেকে সারকেলের বাইরে একটি ফিল্ডার কম রেখেই খেলতে হবে।
আইএইচএস/