কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে বেশকিছু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গণমাধ্যম এবং সরকারবিরোধী সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
Advertisement
অর্থনৈতিক দুর্দশা, খাবার ও ওষুধের সঙ্কট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকারের নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন কিউবানরা। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
রোববারের বিক্ষোভে অংশ নেয়া আলেজান্দ্রো নামের এক বিক্ষোভকারী বিবিসি মুন্ডোকে বলেন, খাবার নেই, ওষুধ নেই, স্বাধীনতা নেই। তার আমাদের বাঁচতে দিচ্ছে না।
রাজধানী কিউবাসহ দেশজুড়ে সংঘটিত বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা মুক্তি এবং স্বৈরতন্ত্রের পতন চাই স্লোগান দিয়েছেন।
Advertisement
সান আন্তোনিওতে এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা ভয় পাচ্ছি না। আমরা পরিবর্তন চাই, আর কোনো স্বৈরতন্ত্র চাই না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বহুসংখ্যক সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের আটক, মারধর এবং পিপার স্প্রে করতে দেখা গেছে।
বলা হচ্ছে, দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট করে দেয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক ফটোগ্রাফার আহত হয়েছেন।
নজিরবিহীন এ বিক্ষোভের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এমন অভিযোগ করেন তিনি। ১৯৬২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নানামুখী নিষেধাজ্ঞার দিকে আঙুল তুলেছেন মিগুয়েল।
Advertisement
প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ভাড়াটে লোক। সেজন্য তিনি বিক্ষোভকারীদের দমন করতে নিজের সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এসএস/এমকেএইচ