প্রথম দুই ম্যাচে করেছিলেন ৮ রান করে। তখনই হিসাব কষা শুরু হয়ে গিয়েছিল, রান প্রতি গেইলের পেছনে কত ব্যায় হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের? প্রায় সাড়ে তিন লাখ। এবার গেইলের ভক্তরা হিসাব কষা শুরু করে দিতে পারেন, টাকার অংকটা কত কমলো।ভক্তদের এত হিসাব-নিকাশ কষার সময় কোথায়! গেইলের প্রকৃত ‘গেইলীয়’ ব্যাটিংয়েই তো মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার কথা তাদের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আসল বিজ্ঞাপনই তো গেইল। বিশ্বব্যাপি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে ফেরি করে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রতিটি বলেই চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি, সে তো গেইলের ব্যাটেই সম্ভব।বিপিএলেও গেইলের উপস্থিতি টুর্নামেন্টের জৌলুস বাড়িয়ে দেবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার। বরিশাল বুলস কিনে নিলেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু বিপিএলেরই দুর্ভাগ্য, ইনজুরির কারণে শুরু থেকে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের হতাশ করেননি তিনি। এলেন মাঝপথে।কিন্তু কী দুর্ভাগ্য, প্রথম দুই ম্যাচেই চরমভাবে ব্যর্থ ক্রিস গেইল। তার দল বরিশাল বুলসও ব্যার্থ। সমালোচনা উঠে গিয়েছিল, তাহলে কী গেইলকে এনে লস হলো বরিশালের। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত গেইল ফিরলেন ‘গেইলীয়’ রূপে। ব্যাটকে বানিয়ে নিলেন তলোয়ার। একের পর এক চিটাগাং ভাইকিংসের বোলারদের কচুকাটা করলেন তিনি। মাত্র ৪৭ বল খেলে করলেন ৯২ রান। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারলেন ৯টি।শেষ ওভারে শ্রীলংকার জীবন মেন্ডসকে চারবার ছক্কা মারলেন তিনি। নিলেন ২৬ রান। গেইল তাণ্ডবের সামনে চিটাগাং ভাইকিংসকে শেষ পর্যণ্ত হারতে হলো ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। মূলতঃ ক্রিস গেইল যদি স্বরূপে ফিরে আসেন, তখন আর কারও করার কিছু থাকে না। নীরবে তাণ্ডব সয়ে শেষ পর্যন্ত পরাজয়ই বরণ করে নিতে হয়। চিটাগাংকেও নিতে হলো। প্রথম দুই ম্যাচ নিষ্প্রভ থাকার পর, অবশেষে রানে ফিরলেন ক্যারিবীয় সাইক্লোন।গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের বিস্ময়াবিভূত তো করেছেই, চোখ জুড়িয়েছে টিভি সেটের সামনে বসা দর্শকদেরও। তার কাছ থেকে তো এমন ইনিংসই প্রত্যাশা করে দর্শকরা। মাঠে নামবেন, খেলবেন এবং ছক্কা মারবেন। সেই ছক্কার খেলায়ই যেন মেতে উঠেছিলেন তিনি চিটাগাংয়ের বিপক্ষে।চিটাগাং ভাইকিংসের বোলাররা অতিরিক্ত ১১ রান না দিলে হয়তো গেইলের সেঞ্চুরিটাও হয়ে যেতো। বিপিএলে আগের দুই আসরে তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। ছক্কা মেরেছিলেন ৩৮টি। এবার প্রথমদিন একটি ছক্কার সঙ্গে আজ মেরেছেন আরও ৯টি। অথ্যাৎ বিপিএলের তিন আসরে গেইলের ছক্কা মোট ৪৮টি।আইএইচএস/এমএস
Advertisement