জাতীয়

করোনা কেড়ে নিল আরও ২২০ প্রাণ

মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ২২০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন ও নারী ৭৮ জন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ জন এবং বাসায় ১৩ জন মারা যান।

এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৩ হাজার ৭৬৮ জন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ জন।

সোমবার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬২৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪৬ হাজার ৪৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৪ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭০ লাখ ১৫ হাজার ২৩৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক শূন্য ৭৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাত হাজার ২০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ৮১ হাজার ৫২১ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২০ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব ৯ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১২১ জন রয়েছেন।

Advertisement

বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৬৪ জন, চট্টগ্রামে ৩৭ জন, রাজশাহীতে ২৩ জন, খুলনায় ৫৫ জন, বরিশালে চারজন, সিলেটে ছয়জন, রংপুরে ১৮ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।

এমইউ/বিএ