সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বদলির পরের অভিজ্ঞতাকে জ্যেষ্ঠতায় যুক্ত করা হয় না। এটি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর ফলে উভয় স্তরের শিক্ষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেই আহ্বান শিক্ষক নেতৃবৃন্দের।
Advertisement
প্রাথমিকের একজন সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন কোনো বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনের পর ভিন্ন কোথাও বদলি হলে তার আগের সব অভিজ্ঞতা ‘জ্যেষ্ঠতা’ হিসেবে আমলে নেয়া হচ্ছে না। নতুন কর্মক্ষেত্রে যোগদানের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতার বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিতে জ্যেষ্ঠতার তালিকা (গ্রেডেশন লিস্ট) চূড়ান্তকরণের কাজ হাতে নিয়েছে। গত জুন থেকে শিক্ষকদের অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। সেখানে একটি প্রশ্ন রয়েছে- ‘আপনি বহিরাগত শিক্ষক কি-না? কবে এ উপজেলা/থানায় যোগ দিয়েছেন?’প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয় উপজেলাভিত্তিক। নিজ উপজেলার বাইরে অন্যত্র বদলি হয়ে গেলে নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষককে ‘বহিরাগত শিক্ষক’ বলা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিকে বদলির সুযোগ রয়েছে। তবে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন নীতিমালায় কোথাও বলা নেই যে বদলি হলে আগের অভিজ্ঞতা গণনা করা হবে না। অথচ এবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তৈরি করা গ্রেডেশন সফটওয়্যারে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে বর্তমান উপজেলায় যোগদানের তারিখ থেকে হিসেব করা হচ্ছে।
Advertisement
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়োগটি উপজেলাভিত্তিক হওয়ায় অনেকে উপজেলায় বা মহানগরীতে দীর্ঘদিন চাকরি করেও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেখানে বহিরাগত শিক্ষকরাও কোনো শর্ত ছাড়াই বদলি হয়ে এসেছেন। কোথাও ১৫ বছর চাকরি করেই পদোন্নতি হয়, আবার কোথাও ৩০ বছরেও হচ্ছে না।’
বাইরে থেকে যারা আসছেন এবং যারা স্থানীয়ভাবে দীর্ঘদিন চাকরি করছেন উভয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই গ্রেডেশন তালিকা প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।
এমএইচএম/এসএস/এএসএম
Advertisement