একে তো গরম তার উপরে বর্ষার স্যাঁস্যাঁতে আবহাওয়া। এ কারণে এ সময় ত্বকেও দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন সমস্যা। আর তৈলাক্ত ত্বক ব্রণ হওয়ার কারণ। অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর ফলে চেহারার সৌন্দর্য অনেকটাই মলিন হয়ে যায়।
Advertisement
যদিও ব্রণ সারাতে অনেকেই ভরসা রাখেন ঘরোয়া পদ্ধতির উপর। তবে জানেন কি, প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদে ব্রণ সারানোর একাধিক উপায় বলা আছে। এসব আয়ুর্বেদিক উপাদান ব্যবহারেই রাতারাতি দূর হবে ব্রণ।
তুলসি ও হলুদের প্যাক
তুলসির জাদুকরি উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে। অন্যদিকে হলুদের আছে অ্যান্টি-সেপটিক গুণ। এই দুটি উপাদান দিয়েই তৈরি করে নেওয়া যায় ব্রণের ওষুধ! এজন্য কাঁচা হলুদ ২ চামচ পরিমাণ বেটে নিন।
Advertisement
একইভাবে ২০-২৫টি তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। এবার ২ উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের অন্ত ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন অন্তত ৩ বার এই প্যাক মুখে ব্যবহার করুন।
নিম ও গোলাপজরের মিশ্রণ
নিমপাতা ত্বকে অ্যান্টি-সেপটিক হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। এজন্য পাতাসহ গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলো ধুয়ে পানিতে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
তারপর পানি থেকে পাতা তুলে ব্লেন্ড করে নিন। এবার পাতার মিশ্রণে ২ চা চামচ পরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে ব্রণের উপরে ব্যবহার করে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দ্রুত শুকোবে, ব্যথাও কমবে।
Advertisement
মধুর জাদু
আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন ওষুধে মধুর ব্যবহারের বিষয়ে উল্লেখ আছে। নানারকম ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে পারে মধু।
এক চা চামচ খাঁটি মধুতে অল্প তুলো ভিজিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে কয়েক বার ব্যবহারেই ব্রণ কমতে শুরু করে।
চন্দনের প্যাক
বিভিন্ন প্রদাহ, ব্যথা, ক্ষত সারাতে চন্দন ব্যবহারের কার্যকারিতা সম্পর্কে বলা আছে আয়ুর্বেদে। বাড়িতে চন্দনপাটা থাকলে তাতে চন্দনকাঠ ঘষে চন্দন বের করে নিন।
না থাকলে চন্দন গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটা যেন খাঁটি হয়। গোলাপজলে বা সাধারণ জলে চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে ব্রণের উপরে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে টান ধরলে জলে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর পানি
ভিটামিন সি ব্রণ কমাতে কাজ করে। এজন্য ২টি পাতিলেবু চিপে রস বের করে পানি মিশিয়ে নিন ২ চা চামচ। এই মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ব্রণের উপরে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে। তবে সেনসিটিভ ত্বকে লেবুর রস এড়িয়ে চলাই ভালো।
সূত্র: ফেমিনা
জেএমএস/জেআইএম