কালা পাহাড় কিংবা কালা বাহাদুর, আছে ধলা পাহাড়, নবাব, শান্ত, লালুসহ বাহারি নামের গরু। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে গরুর চলন বলন আর স্বভাবের ওপর ভিত্তি করে রাখা হয়েছে এসব নাম। এরই মধ্যে কোরবানির জন্য প্রস্তুত এসব গরুর দাম হাঁকা শুরু করেছেন সাভার ও ধামরাইয়ে খামারিরা।
Advertisement
কোনটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ আবার কোনটির এক লাখ। তবে করোনা রোধে চলমান বিধিনিষেধে গরু বিক্রি ও ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা
সাভারের কবিরপুর এলাকার নুরুল ইসলামের খামারে গিয়ে কথা হয় গরু দেখভালে থাকা হাবিবুরের সঙ্গে।
গরু নাম রাখা নিয়ে তিনি জানান, গরুর স্বভাব আর আচরণের কারণে নাম রাখা হয়। যেমন কালা পাহাড়। গরুটির গায়ের রঙ কালো আর এর দেহ পাহাড়ের মতো উঁচু হওয়ায় আদর করে নাম রাখা হয় কালা পাহাড় আর ধলা পাহাড়ও একই। এর গায়ের রঙ সাদা। খামারের সবচেয়ে ছোট সুন্দর গরুটিকেই ডাকা হয় সুন্দরী নামে।
Advertisement
নাম রাখায় সুবিধা আছে বলেও জানান হাবিবুর। তার মতে, অনেক গরুর ভেতর নাম থাকলে তা দেখভালে সুবিধা হয়। খামারিকে সহজে চেনানো যায় কোন গরুর কি বৈশিষ্ট্য।
এমনভাবে আশুলিয়ার জিরানী, নরসিংহপুর, জিরাবো, ধামসোনা, কন্ডা, পলাশবাড়ী ধামরাইয়ের ললিতনগর, ভাড়ারিয়া, কুল্লাসহ আশপাশের এলাকাও রয়েছে অনেক খামার। রাখা হয়েছে গরুগুলোর নাম।
এসব বাহারি নামের গরু দেখতে খামারগুলোতে ভিড় জমান নানান বয়সের মানুষ। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে যাচ্ছেন ক্রেতারা। কোনটির দাম উঠছে ১০ লাখ কোনটি আবার এক লাখ। আকার ভেদে এ দাম নির্ধারণ করছে খামারিরা।
তবে করোনা রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা। ন্যায্য মূল্য না পেলে অনেকেই এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন বলে জানান অনেকে। গরুর হাট বসা না বসা নিয়ে এখনও দুশ্চিন্তায় তারা।
Advertisement
তবে করোনায় ক্রেতারা হাট কেন্দ্রিক না হয়ে খামার কেন্দ্রিক হচ্ছে বলে জানান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
ধামরাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান জানান, করোনার মধ্যে অন্যান্য বছরের মতো কোরবানির জন্য এবারও সন্তোষজনক গরু প্রস্তুত রেখেছে খামারিরা। নিয়মিত খোঁজ খবর রেখে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাজাতকরণ করা হয় বলে এ অঞ্চলের গরুর কদর বেশি থাকে।
এসজে/এএসএম