খেলাধুলা

ফাইনাল হারলেও ‘সঠিক পথে আছে’ ইংল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইংল্যান্ডের একমাত্র সাফল্য ১৯৬৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ। প্রায় ৫৫ বছর পর আবার কোনো মেজর টুর্নামেন্ট জেতার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ইংলিশরা। ঘরের মাঠে খেলা ইউরো কাপের ফাইনালে শিরোপা জেতার জোয়ারটা ছিল ইংল্যান্ডের পক্ষেই।

Advertisement

কিন্তু ইতালির অপরাজেয় যাত্রা থামাতে পারেনি গ্যারেথ সাউথগেটের দল। রোববার দিবাগত রাতে হওয়া ফাইনাল ম্যাচটিতে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েও ম্যাচ জিততে পারেনি ইংলিশরা। প্রথমে গোল দেয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে তারা। পরে টাইব্রেকারে গিয়ে ম্যাচ হেরেছে ৩-২ ব্যবধানে।

২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে থেকেই ইংল্যান্ডের ফুটবলে চলছে ‘ইটস কামিং হোম (শিরোপা ঘরে আসছে)’ স্লোগান। কিন্তু সেই শিরোপা আর ঘরে তুলতে পারছে না তারা। তবে উন্নতির ছাপ অবশ্য স্পষ্ট। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ার পর এবার ইউরো কাপে খেলল ফাইনালে।

এটি নিয়েই মূলত আশাবাদী ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। আরও একটি বছর শিরোপাশূন্য অবস্থায় কাটালেও, নিজ দলের উন্নতিতে খুশি তিনি। কেইনের মতে, এখান থেকেই সামনের বছর আরও সামনে যাবে ইংল্যান্ড। তাই এখন সবাইকে মাথা উঁচু রাখতে বলছেন তিনি।

Advertisement

ফাইনালের পর কেইন বলেছেন, ‘অবশ্যই এটা আমাদের কষ্ট দেবে। লম্বা সময় ধরে আমাদের দুঃখ দেবে এই পরাজয়। তবে আমরা সঠিক পথেই আছি। আমরা বড় হয়ে উঠছি। আশা করছি আগামী বছর (ফিফা বিশ্বকাপ) এখান থেকেই আরও সামনের দিকে যাবো। আমরা রাশিয়া (২০১৮ বিশ্বকাপ) থেকে ভালো করে চলেছি। এটা ধরে রাখাই এখন মিশন।’

ইংলিশ অধিনায়কের মতে, ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটাই দিয়েছে তার দল। কিন্তু এই রাতটা তাদের ছিল না বিধায় মেলেনি জয়। তাই ক্যারিয়ারের বাকি সময় এটি কষ্ট দিলেও, সতীর্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন হ্যারি কেইন।

তার ভাষ্য, ‘আমি এর চেয়ে ভালো খেলতে পারতাম না। ছেলেরা এর চেয়ে ভালো খেলতে পারতো না। আমরা সর্বোচ্চটা দিয়েছি। হেরে গেলে পেনাল্টির চেয়ে বাজে অনুভূতি আর হয় না। এটা আমাদের রাত ছিল না। তবে আমরা দারুণ টুর্নামেন্ট কাটিয়েছি, আমাদের মাথা উঁচু রাখা উচিত।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যা অর্জন করেছি তাতে আমাদের অবশ্যই গর্ব করা উচিত। আমরা সবাই জয়ী এবং জিততে চাই। তাই এটা অবশ্যই একটা সময় ধরে আমাদের কষ্ট দেবে। ক্যারিয়ারের বাকি সময় এটা আমাদের কষ্ট দেবে। তবে এটাই ফুটবল।’

Advertisement

এসএএস/জেআইএম