করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ এবং জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে পেরু। আগামী আগস্টের শেষ নাগাদ দেশটিতে জারি থাকবে জরুরি অবস্থা।
Advertisement
অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো সাগাস্তির সরকার রোববার (১১ জুলাই) এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করে। গত বছরের মার্চ থেকে চলে আসা জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৩১ জুলাই। এ অবস্থায় দেশটিতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকে।
গত কয়েক মাস ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণে পেরুর অবস্থা শোচনীয়। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটিতে ২০ লাখ ৭ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ লাখ ৯৩ হাজারেরও বেশি।
পেরুর শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল শিক্ষাকেন্দ্র কায়েতানো হেরেদিয়া ইউনিভার্সিটির মহামারি বিশেষজ্ঞ সিজার কারকামো বলেন, পেরুর প্রায় সব নাগরিকেরই কোনো না কোনো পরিচিত মানুষ করোনাভাইরাসে মারা গেছেন।
Advertisement
সংক্রমণ রোধের পদক্ষেপ হিসেবে পেরু সরকার সাপ্তাহিক ছুটির সময় ৩৬ ঘণ্টার বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় রাজধানী লিমার হাসপাতালে শত শত মানুষকে টিকা নিতে আসতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে দেশটির মিনিস্টার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভিয়োলেটা বারমুডেজ বলেন, সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেয়ার মাধ্যমে আমরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা বিভিন্ন কাজকর্ম পুনরায় শুরু করতে পারব।
ভ্যাকসিন নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নাগরিকরাও।
উল্লেখ্য, গত মাসে পেরুতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেনি। এ নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
Advertisement
এসএস/এএসএম