বিধিভঙ্গের অভিযোগ স্বীকার করে ইসিতে নোটিশের জবাব দিয়েছেন অভিযুক্ত তিন এমপি। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় নিজেদের উপস্থিতিকে অনিচ্ছাকৃত ভুল উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তারা। জবাবে ভবিষ্যতে আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়েও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। পৌর নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন কমিশনের শোকজ নোটিশের জবাবে একথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের এমপি ঢাকা-২০ আসনের এম এ মালেক, নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল ও বরগুনা-২ আসনের শওকত হাচানুর রহমান রিমন । রোববার নির্বাচন কমিশন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জন্য এই তিনজন এমপিকে তিন দিনের সময় দিয়ে তাদের কাছে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ব্যাংখ্যা চায়। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় উপস্থিতি, হেলিকপ্টার ব্যবহার ও আগাম প্রচারণামূলক কাজে জড়িত থেকে সরকারি সুবিধাভোগী এই ব্যক্তিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বুধবারের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। জানতে চাইলে এমপি এম এ মালেক বলেন, আমি ইসি সচিব বরাবর জবাব পাঠিয়েছি। অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেছি। সেই সঙ্গে আগামীতে আচরণ বিধি অনুসরণের বিষয়ে সচেতন থাকব উল্লেখ করেছি। তিনি জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় কোনো মেয়রপ্রার্থীর সঙ্গে না গেলেও একসঙ্গে ছবি উঠানো হয়েছে পরে। যা গণমাধ্যমেও এসেছে। আমি বিধি লঙ্ঘন করবো না, এ বিষয়টিও জানিয়েছি। নাটোরের এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল মঙ্গলবার ইসি সচিবের কাছে জবাব পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে- মেয়র প্রার্থী উমা চৌধুরীর সঙ্গে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। এটা আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজন্যে দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীতে আচরণবিধি পালনের বিষয়ে সচেতন থাকব মর্মে নিজের জাতীয় সংসদের প্যাডে নোটিশের জবাবে লেখেন শফিকুল ইসলাম। একই পদ্ধতিতে বরগুনার এমপি রিমনও বুধবার বিকেলের মধ্যে জবাব দিয়েছেন বলে জানান ইসির একজন কর্মকর্তা। দুপুরে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এমপিরা কোনোভাবেই যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন সে বিষয়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংসদ সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। ইতোমধ্যে শোকজ নোটিশও দেয়া হয়েছে তিনজনকে। তিনি বলেন, যারা আইন প্রণয়ন করেন, তারা আইন ভাঙবেন না এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এ বিষয়ে বাকি সংসদ সদস্যরাও সজাগ থাকবেন আশা করি।এইচএস/এসকেডি/এমএস
Advertisement