জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দিন ধার্য থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ওইদিন আদালতে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাই বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে তিনি আদালতে যেতে পারছেন না।’ খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় এর আগেও মামলায় কয়েকটি ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা দেন। চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই মাস লন্ডনে থেকে গত ২১ নভেম্বর দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর গত ২৬ নভেম্বর মামলার দিন ধার্য থাকলেও অসুস্থতার জন্য আদালতে হাজির হতে পারেননি খালেদা জিয়া। তার পক্ষে তার আইনজীবীদের হাজিরা মঞ্জুর করেন আদালত।তবে গত ৩০ নভেম্বর নাইকো সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া। ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এম আমিনুল ইসলাম নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ধার্য করেন বিচারিক আদালত। ঢাকার বকশীবাজার এলাকার উমেষ দত্ত রোডে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে। গত ৩ ডিসেম্বর ধার্য তারিখে আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষীর জেরা ও নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন। এ দুর্নীতি মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দেয় ২৫ জন সাক্ষী। এছাড়াও উচ্চ আদালতে ‘লিভ টু আপিল’ থাকায় আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রেখেছেন আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। তাকে আসামিপক্ষে জেরা অসমাপ্ত রয়েছে। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকলীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন। যা আইনত করা যায় না। ট্রাস্টের অর্থে নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। এফএইচ/একে/এমএস
Advertisement