দেশজুড়ে

অবৈধ যাতায়াত ঠেকাতে বেনাপোলে কাস্টমসে বসল ফিঙ্গার প্রিন্ট

অবৈধ যাতায়াত রুখতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের প্রবেশ দ্বারে ফিঙ্গার প্রিন্ট সিস্টেম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রোববার (১১ জুলাই) সকাল থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের কাস্টমস হাউসে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেনাপোল কাস্টমস গেটের প্রবেশদ্বারে রয়েছে দুটি ফিঙ্গার মেশিন। একটি সিঅ্যান্ডএফ মালিকদের, অন্যটি কর্মচারীদের জন্য। যা স্পর্শ করে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট কাস্টমসে এন্ট্রি করা আছে শুধুমাত্র তারাই প্রবেশ করতে পারছেন।

বেনাপোল কাস্টমস ব্যবহারকারী সিঅ্যান্ডএফের ৮০০ মালিক ও ৪ হাজার কর্মচারীদের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৫৩০ জন এন্ট্রি করতে পেরেছেন। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ফলে বেনাপোলের বাইরের কেউ আসতে পারেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাকিরা এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

Advertisement

এদিকে অনেকে বলেছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ফিঙ্গার মেশিনের সংস্পর্শে করোনা পজিটিভ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। সে ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন জানান, কাস্টমস হাউসে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীরাও খুশি। এতে যেমন নিরাপত্তা জোরদার হবে তেমনি অবৈধ কার্ডধারীদের প্রবেশের কোনো সুযোগ থাকবে না।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম জানান, যাদের ফিঙ্গার এন্ট্রি নেই তারা প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে যদি কেউ জরুরিভাবে ভেতরে যেতে চাইলে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কাস্টমসে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

মো. জামাল হোসেন/এসজে/জিকেএস

Advertisement