দেশজুড়ে

৩০ মণের ‘শেরখান’ ও ২৪ মণের ‘বাহাদুর’কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় মালিক

মেহেদী ও আশরাফুল তরুণ উদ্যোক্তা। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার অলিপুর গ্রামের বাসিন্দা তারা। পড়াশোনার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন ‘এআরএস ফার্ম’ নামে একটি গুরুর খামার। কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই তারা খামারে ষাঁড় গরু লালন-পালন করেন।

Advertisement

আসন্ন ঈদুল আজহার জন্য খামারে বিশাল আকৃতির দুটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দুটি দুবছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন। শান্ত স্বভাবের হওয়ায় ষাঁড় দুটির নাম রেখেছেন ‘শেরখান’ ও ‘বাহাদুর’।

তিন বছর বয়সী ষাঁড় শেরখানের ওজন ৩০ মণ আর ও দুবছর বয়সী বাহাদুরের ওজন ২৪ মণ। শেরখানের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা আর বাহাদুরের ৮ লাখ টাকা। কিন্তু করোনা রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে হাট বন্ধ থাকায় বড় গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি উপজেলার সবচেয়ে বড় বিশালাকৃতির দুটি গরু দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসছেন বাড়িতে। বিশাল আকৃতির ষাঁড়গুলো এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে। তবে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন করোনাভাইরাসের প্রকোপে এর ন্যায্য দাম নিয়ে।

Advertisement

এআরএস ফার্মের পরিচালক মেহেদী হাসান আশিক ও আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের খামারে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৫০টি ষাঁড় গুরু রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘শেরখান’ ও ‘বাহাদুর’কে আমরা ২-৩ বছর ধরে লালন-পালন করছি। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী ষাঁড় দুটিকে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। এই দুটি ষাঁড়ের পেছনে প্রতিদিন খরচ হয় ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা।

তারা আরও বলেন, তাদের প্রতিদিন দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসছেন। শান্ত স্বভাবের হওয়ায় ষাঁড় দুটি নাম ধরে ডাকলে মাথা ও কান নাড়িয়ে সাড়া দেয়। ৩০ মণ ওজনের শেরখানের দাম ১৫ লাখ টাকা আর ২৪ মণ ওজনের বাহাদুরের দাম ৮ লাখ টাকা হাঁকা হয়েছে। খামারে এসে ষাঁড় দুটি দেখে পছন্দ হলে দামে কম-বেশি করা যাবে। আমরা বাড়ি থেকেই ষাঁড় দুটি বিক্রি করার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে আমরা নিজ খরচে গরু দুটি ক্রেতাদের বাড়িতে পৌঁছে দেব। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোর্শেদ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘চলতি বছর কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য এ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় রয়েছে প্রায় ২৬ হাজার। উপজেলার আমডাঙ্গা অলিপুরে মেহেদী-আশরাফুল ইসলামের ষাঁড় দুটি অন্যতম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঈদুল আজহার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন ন্যায্যমূল্য পেলে এদের মালিক উপকৃত হবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে করোনার কারণে হাট বন্ধ থাকায় খামারিদের কথা চিন্তা করে আমাদের জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পশুর হাট নামে একটা অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে খামারিরা তাদের গরু বিক্রি করতে পারবে।’

Advertisement

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এসজে/জিকেএস