মতামত

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে জনসংখ্যা বিস্তারের যত সব তত্ত্ব

ড. মো. হাসিনুর রহমান খান

Advertisement

গৃহকর্তা, তার স্ত্রী, তাদের দুটি সন্তান এবং দুটি সন্তানের প্রত্যেকের আরও দুটি সন্তান ধরে বিবেচনা করলে পরিবারের গৃহকর্তার সাথে পরম্পরায় পরিবারের সদস্যদের অনুপাতের ধারাটা হবে ১:৭| একটি আদর্শ পরিবারের ক্ষেত্রে অনুপাতের ধারাটা হয়তো এর কাছাকাছি কিছু একটা হওয়া উচিত| ধরুন বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের এমন একটি আদর্শ অনুপাতের ধারা যদি বজায় থাকত তাহলে কি বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে আদর্শ জনসংখ্যা বলা যেত? এই যুক্তির সপক্ষে অনেকের বিবেচনাবোধ কাজ করলেও, যুক্তির বিপরীতে অনেক প্রকট যুক্তির উপস্থাপনও অস্বীকার করা যাবে না|

আদর্শ জনসংখ্যাকে অনেকে সর্বোত্তম বা অপটিমাম জনসংখ্যা হিসেবেও ভাবতে পারেন| যেমন ভৌগোলিকভাবে রাষ্ট্রের আকার বড় হলে, বা প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা বিদ্যমান থাকলে, অথবা উৎকৃষ্ট জনসম্পদের অবস্থা থাকলে সর্বোত্তম জনসংখ্যার ধারণাটিকে ওই রাষ্ট্রের আদর্শ জনসংখ্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়তো ঠিক হবে| ফলে কোন রাষ্ট্রের আদর্শ বা সর্বোত্তম জনসংখ্যা, এমনকি জনবহুল কিংবা স্বল্প জনসংখ্যার সংজ্ঞাকে শুধু সরলীকরণ ভাবে আখ্যায়িত করা যাবে না, বরং এগুলোকে অত্যন্ত বিষয়ভিত্তিক, মানুষের চিন্তা চেতনার সংবেদনশীলতার, এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ’র উপর ভিত্তি করে সংজ্ঞায়িত করা উচিত|

কিন্তু পরিবারের গৃহকর্তা এবং সদস্যদের অনুপাতের ধারাটা যদি ১:১৬৩ হয় অর্থাৎ একজন গৃহকর্তা তার স্ত্রী সন্তানাদি এবং নাতি নাতনীদের নিয়ে সংখ্যাটা যদি ১৬৩ হয়, তবে তাকে আশাতীতভাবে অভূতপূর্ব সংখ্যাই বলা যাবে, পরিসংখ্যানের যাকে এক্সট্রিম ভেলু বা চরম নাম্বার বলা হয়| কোন পরিবারের এমন বৃহৎ আকার যে কোন রাষ্ট্রের আদর্শ জনসংখ্যার সংকটের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হবে এ ব্যাপারে সবাই একমত হবেন| এমন সব সংকটের প্রকৃষ্ট উদাহরনে কোন দেশ ভরে গেলে অতি সরলীকরণ সূত্রমতেই ওই দেশের জনসংখ্যাকে জনবহুল বলা যাবে নির্দ্বিধায়| বাস্তবে এমনটি হওয়ার একেবারেই সম্ভাবনা নেই| প্রকৃতপক্ষে কোন দেশের জনসংখ্যার আকার নির্ভর করে নানা বৈচিত্র্যময় বিষয়ের উপর|

Advertisement

পরিবারের গৃহকর্তা হিসেবে ১৬৩ মতান্তরে ১৮১ (৩৯ স্ত্রী, ৯৪ সন্তান এবং ৩৪ নাতি-নাতনি) আকারের অভূতপূর্ব এক পরিবারের জন্ম দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন ভারতের মিজোরামের জিয়োনা চানা, যিনি সম্প্রতি ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন| পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশেই মিজোরাম রাজ্যের রাজধানী হতে ৫৫ কিলোমিটার দূরে জিয়োনা চানার বাসস্থান| ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করে জীবনের পরবর্তী ৫৯ বছর সময়ের মধ্যেই এত বড় একটি পরিবারের প্রধান কর্তা হতে পেরেছেন| পরিবারের সবাই একটি চারতলা বিল্ডিং এর ১০০ টি রুমে বসবাস করতেন| এরকম যেকোনো বৃহৎ আকারের পরিবারের সংখ্যা আগের দিন গুলিতে অনেক বেশি ছিল, বছরের পর বছর পেরিয়ে আকার লোপ পেয়ে তাদের আর দেখা মিলে না| তথাপিও মাঝেমধ্যে সংবাদের শিরোনাম হয় এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের অবদানের কথা আমাদেরকে নতুন করে ভাবায়| আদর্শ জনসংখ্যার সংকটের আগুনে এসব জিয়োনা চায়নাদের ঘি কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়|

জনসংখ্যার বিস্তার এবং এর গতি প্রকৃতি অতীতের হাজার হাজার বছর ধরে আজ অবধি কি ঠিক একই নিয়মে চলছে, কখনই নয়| আঠারো শতকের শেষ অবধি পর্যন্ত আধুনিক পূর্বযুগে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে ছিল খুব কম| জন্ম ও মৃত্যুর হার উভয়ই এই পর্যায়ে খুব বেশি ছিল এবং খরা, দুর্ভিক্ষ এবং রোগের মতো প্রাকৃতিক ঘটনার প্রভাবে তা দ্রুত ওঠানামা করেছিল। এরপর আধুনিক শিল্পায়ন এবং নগরায়নের বিকাশের যুগে খাদ্য সরবরাহ ও নিশ্চয়তা এবং সেনিটাইজেশন এর কারণে মৃত্যুর হার ব্যাপক ভাবে কমে যাওয়ার ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চগতি দেখা যায়| ব্যাপক মৃত্যুর হার হ্রাস উত্তর পশ্চিম ইউরোপে ১৮ শতকের শেষদিকে শুরু হয়েছিল এবং প্রায় এক শতক বছর ধরে তা ইউরোপের দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল|

এরপর ১৯ শতকে নানা কারণে মৃত্যুহার এর পাশাপাশি কিছু কিছু দেশে জন্মহারও কিছুটা কমতে শুরু করে বিশেষ করে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে| এই সময়ে গর্ভনিরোধ পদ্ধতির সূচনা ও প্রয়োগ, মজুরি বৃদ্ধি, নগরায়ন, মহিলাদের মর্যাদা ও শিক্ষার বৃদ্ধি, শিশুশ্রমের মূল্য হ্রাস, বাচ্চাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে পিতামাতাদের বিনিয়োগের বৃদ্ধি, এবং নানা সামাজিক পরিবর্তন জনসংখ্যার জন্ম এবং মৃত্যু হার কমাতে সাহায্য করে| ফলে জনসংখ্যার বয়স কাঠামোয় পরিবর্তন আসে, গড় আয়ু বাড়তে শুরু করে এবং দৃশ্যত জনসংখ্যার বার্ধক্য অংশের বৃদ্ধি ঘটতে শুরু করে| পরবর্তীতে বিশ শতকের দিকে বার্ধক্য জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে কিছু দেশের জন্য তা বোঝা স্বরূপ দেখা দেয়| কিছু কিছু দেশে যেমন জার্মানি, ইতালি, এবং জাপানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রিপ্লেসমেন্ট স্তরের নিচে চলে যায় ফলে জনসংখ্যা কমতে শুরু করে বিশ্বের জনসংখ্যা অসমভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে মহাদেশ গুলি ব্যাপী, পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের মধ্যে ছয়টিতে স্থায়ীভাবে জনসংখ্যার বৃহত্তর বিস্তার ঘটেছে| বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০% বাস করে এশিয়া মহাদেশে যেখানে ভারত এবং চীন মিলে ৩৭ শতাংশ লোকের বাস| আফ্রিকা এবং ইউরোপ মহাদেশে বাস করে যথাক্রমে ১৫ এবং ১১ শতাংশ| ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে ৯% এবং উত্তর আমেরিকা মহাদেশে ৫ শতাংশ এবং অসমীয়া মহাদেশে দশমিক ৫ শতাংশ| এন্টার্কটিকা মহাদেশে কোন লোকসংখ্যা বাস করে না বললেই চলে| এশিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশগুলি উত্তর এবং পশ্চিমে তার অংশগুলির তুলনায় বেশি জনবহুল। একইভাবে, ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অংশগুলি মহাদেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি এবং উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষ পূর্ব আটলান্টিক উপকূলে বাস করে| এ ছাড়াও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮১% স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে বাস করে|

প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যার আকারের বাইরেও কোন একটি দেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ এবং তা যথাযথ ব্যবহারের প্রয়োজনীয় জনসংখ্যার আধিক্য থাকলেই ওই দেশকে জনবহুল দেশ বলা হয়| যেমন ভারত, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, সুদান, নাইজার, হাইতি, উগান্ডা এবং জিম্বাবুয়ে। জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে এসব অঞ্চলে সুপেয় পানির অভাব, প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস, বিশেষত জীবাশ্ম জ্বালানী, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ এবং শব্দদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক বা অবকাঠামোগত ভিত্তির অভাব, বন উজাড় এবং বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি, বায়ুমণ্ডলীয় বৈশিষ্ট্যের নেতিবাচক পরিবর্তন এবং ফলশ্রুতিতে বিশ্ব উষ্ণায়নে পরিবর্তন, আবাদযোগ্য জমির সংকোচন এবং মরুভূমিতে পরিবর্তিত হওয়ার উচ্চ শঙ্কা, বিভিন্ন গণ প্রজাতির বিলুপ্তি, বৈধ বা অবৈধ অভিবাসীর উচ্চ বৃদ্ধি, ক্ষুধা ও অপুষ্টি জনিত রোগ যেমন রিকেটসহ অন্যান্য সংক্রমণ জনিত রোগ বৃদ্ধি পাওয়া, অপরাধের হার বৃদ্ধি, গড় জীবনী-প্রত্যাশা কমে যাওয়া, অবকাঠামোর মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারসহ নানাবিদ সমস্যার সৃষ্টি হয়|

Advertisement

সারা বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যার বিস্তারের জন্য কি কি বিষয় দায়ী আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি| বিশ্বের জনসংখ্যার ৭৫% উপকূলের ১০০০ কিলোমিটারের মধ্যে বাস করে এবং তা প্রায় ৬৬% প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে বাস করে। আসলে উপকূলকে কেন্দ্র করে জনসংখ্যা বিস্তৃতি ঘটে এবং জনসংখ্যার চূড়ান্ত বিস্তার জলবায়ু এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণ দ্বারা নির্ধারিত হয়। সাধারণত জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাস পায় সমুদ্র-স্তর হতে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে। দেখা গেছে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৫৬% সমুদ্র-স্তর এবং ২০০ মিটারের মধ্যে বাস করে যা মোট স্থলভাগের মাত্র ২৭.৮%| সমতলভূমি সাধারণত জন-বিস্তৃতির জন্য বেশি উপযোগী, যেমন ভারতের গঙ্গা উপত্যকার অঞ্চল।

বেশি ঠাণ্ডা এবং বেশি গরম নয় এমন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার অঞ্চলগুলিতে জনসংখ্যার বিস্তার সবচেয়ে দ্রুত ঘটে| যে কারণে মরু অঞ্চল ও অতি শীতপ্রধান দেশে জনসংখ্যা কম দেখা যায়| কানাডার প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩ জনেরও কম লোক বসবাস করে|

হিমালয়ের আশপাশের দেশগুলিতে এবং উত্তর মেরুর দেশ গুলিতে অনেক কম লোক বাস করে| এছাড়াও চাষাবাদের উর্বর ভূমিভিত্তিক অঞ্চলগুলিতে জনসংখ্যার আধিক্য দেখা যায়, বিশেষ করে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া এবং উত্তর ভারতের বহু অঞ্চলে| জৈবিক এবং প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন কয়লা, জলাধার, খনিজ এবং বন সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলি জনসংখ্যার বৃদ্ধির এবং বিস্তারের সহায়ক| এইসব সম্পদ বাণিজ্য এবং শিল্পের উন্নয়নে সহায়তা করে এবং গুচ্ছ গুচ্ছ জনসংখ্যার বিস্তারে সাহায্য করে| এই কারণেই উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ এবং ভারতে, বিহার, পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশও জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব দেখা যায়|

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়ু, পানি, এবং মাটির উপরিভাগকে ব্যবহার করে দ্রুততার সাথে কৃষি, বাণিজ্য পাশাপাশি শিল্পকর্ম পরিচালনা উপযোগী করার মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্বকে বৃদ্ধি করা হয়। অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার পরিমাণ কম। প্রাচীন আমলের নদী উপত্যকার তুলনায় এই দেশগুলিতে মানুষের বসবাসের বিস্তার অনেক কম। সাংস্কৃতিক কারণগুলির মত মানুষের জীবনযাত্রার বৈচিত্র্য জনসংখ্যার ঘনত্বকে প্রভাবিত করে। নিরক্ষীয় বন এবং মরুভূমিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম থাকে কারণ এইসব অঞ্চলে যাযাবর উপজাতিগুলি প্রায়শই তাদের পরিবারকে টিকিয়ে রাখার জন্য শুধুমাত্র খাদ্য সংগ্রহের কাজে যুক্ত থাকে। যাজক যাযাবর দ্বারা বাস করা অঞ্চলগুলিতেও ঘনত্ব কম থাকে কারণ তারা চারণভূমির সন্ধানে তাদের প্রাণীদের সাথে নিজেদেরকে স্থানান্তরিত করে।

এর বাইরে ও রাজনৈতিক, অর্থনীতি, এবং ধর্মীয় নানা কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে জনসংখ্যা বিস্তৃতি লাভ করে| এসব কারণে কর্মসংস্থান, অভিবাসনের, নগরায়ণ এবং আশ্রয়নের সুযোগ মেলে বা লোপ পায়| প্রযুক্তি ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্ধুর অঞ্চলকেও জনসংখ্যা বিস্তারের চারণভূমি তৈরি করারও প্রমাণ আছে|

প্রতিবছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিচালনা পরিষদের মাধ্যমে এই দিবসটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ১১ জুলাই ঠিক যখন বিশ্ব জনসংখ্যা প্রায় ৫০০ কোটি হতে চলেছিল। বিশ্ব জনসংখ্যার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে প্রতিবছর মানুষকে সচেতন করাই এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য। বিশেষ করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, লিঙ্গ ভারসাম্য, দারিদ্র্য, মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য এবং মানবাধিকার বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন করাই এই দিবসের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু এ বছর এ দিবসটি পালন হচ্ছে এমন একটি সময় যখন বৈশ্বিক করোনা মহামারি গ্রাস করছে মানুষের সকল অর্জন এবং উপরোক্ত জনসংখ্যার সমস্যাগুলোকে আরো প্রকট করে তুলছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির দ্বিতীয় বছরে এসেও লকডাউনের কারণে নারী সহিংসতা এবং ডিভোর্স বৃদ্ধি, শিশুশ্রম এবং বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আয় সংকোচন, প্রজননজনিত মৃত্যু, অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ ইত্যাদির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের কারণে প্রায় প্রতিটি দেশে জনসংখ্যার সুস্থ ধারা আজ হুমকির মুখে পড়েছে|

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ফলিত পরিসংখ্যান আই এস আর টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সভাপতি, আই এস আর টি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাহী কমিটি।

এইচআর/এমএস