অস্ট্রেলিয়ায় চলতি বছরে প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১১ জুলাই) নিউ সাউথ ওয়েলসে একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি চলতি বছরে একদিনে রেকর্ড ৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় অস্ট্রেলিয়াবাসীকে এখন করোনার দ্রুত সংক্রমণশীল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। খবর : রয়টার্সের।
Advertisement
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিকলিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ অবস্থায় রাজধানী সিডনিতে চলমান কঠোর লকডাউন আরও বাড়ানো হবে। নতুন শনাক্তের সংখ্যা যদি আগামীকালও একশ’র নিচে থাকে, তা আমাকে বিস্মিত করবে।’
এর আগে গতকাল শনিবার সেখানে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যা ছিল চলতি বছরের সর্বোচ্চ। সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবে সেখানে ৫৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রোববার শনাক্ত ৭৭ জনের মধ্যে ৩৩ জন আক্রান্ত অবস্থায় অন্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ৫০ লাখ মানুষের সিডনি শহর ও এর আশপাশে চলমান তিন সপ্তাহের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
Advertisement
গ্লাডিস বেরেজিকলিয়ান বলেন, ‘আমরা কোথায় ছিলাম এবং শুক্রবার (১৬ জুলাই) চলমান লকডাউন তুলে নেয়ার কথা ছিল। এখন সবাই বলতে পারে এটি অসম্ভব।’
অস্ট্রেলিয়ায় করোনার সাম্প্রতিক ঢেউয়ে আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তদের প্রতি ১০ জনের একজন আক্রান্ত হয়েছেন চলতি ঢেউয়ে। এদের মধ্যে ১৫ জনকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে, আর ভ্যান্টিলেশন প্রয়োজন হয়েছে পাঁচজনের।
বিশ্বের উন্নত অনেক দেশের তুলনায় করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর দিক দিয়ে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজারের কিছু বেশি। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯১১ জনের।
অস্ট্রেলিয়ায় ইতোমধ্যে টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে সেখানেও টিকা সরবরাহে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে শুধু চল্লিশোর্ধ্ব এবং ঝুঁকিপূর্ণদের টিকা দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
ইএ/জিকেএস