দেশজুড়ে

ঝালকাঠি ৯ দাখিল পরীক্ষার্থী গ্রেফতার

ঝালকাঠি এনএস (নেছারাবাদ) কামিল মাদ্রাসার ৯ দাখিল পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।  ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে আবাসিক ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় দ্রুত বিচার আইন ২০০২/সংশোধনী ২০১৪ এর ৪ ধারায় মামলা (নং-০৭/০৯ ডিসেম্বর১৫) দায়ের করেন। বুধবার দুপুর ২টায় মাদ্রাসা কমপ্লেক্স থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকদের বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আটকরা হলেন, মুলাদী উপজেলার তেরচর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সোলায়মান হোসেন সজীব (১৬), গাছুয়া গ্রামের আ. রব রতনের ছেলে সাইদুর রহমান সাইদী, গলাচিপা উপজেলার বড় গাবুয়া গ্রামের মো. শফিকুর রহমানের ছেলে আ. শাকুর (১৬), খুলনা রোকন উদ্দিন সড়কের মো. আ. ছালামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৬), যশোরের অভয়নগর উপজেলার মহাকাল গ্রামের মনিরুল ইসলাম (১৬), কালকিনি উপজেলার মধ্য ধুলগ্রাম গ্রামের মাও. মো. শাহজালালের ছেলে মো. মহিব্বুল্লাহ (১৫), বানারীপাড়া উপজেলার ইল্যুহার গ্রামের মো. শাহাদাত সিকদারের ছেলে মো. বশির সিকদার (১৫), পটুয়াখালী উপজেলার পশ্চিম আরামবাগ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিব উন নুর (১৫) ও উজিরপুর উপজেলার সাকরাল গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (১৬)। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরে শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করেন। এসময় আবাসিক ভবনের বিভিন্ন কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৮শ` টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং নগদ টাকাসহ ৫ লাখ ৭ হাজার ৭শ` ৭০ টাকার মালামাল লুট করে। ঘটনার পরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, মো. আবু জাফর ও শহীদুল ইসলামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দানের নির্দেশ দেয়। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়। আটক ছাত্ররা জানান, তারা সকলেই দাখিল পরীক্ষার্থী। জোহর নামাজের পরে আমাদেরকে অধ্যক্ষ হুজুর ডেকে নিয়ে কিছুক্ষণ আদব কায়দার বিষয়ে কথা বলেন। পরবর্তীতে সাবেক অধ্যক্ষ এবং বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি হুজুর এসে আমাদের ব্যাচ খুলে নিয়ে দরজা আটকিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পরে দেখি পুলিশ গিয়ে আমাদের বলে তোমাদেরকে ওসি সাহেব কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। শেষ হলে আবার মাদ্রাসায় পৌঁছে দেব। তারা আরো জানান, সেদিনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার দায় আমাদের উপরে চাপানো হচ্ছে। আমাদের হেফজো শেষ করে আসায় বয়স বেশি হয়েছে দেখে আমাদেরকে দোষী বানানো হচ্ছে। মো. আতিকুর রহমান/এমজেড/এমএস

Advertisement