দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা জালিয়াতি ও জাল সনদ বিক্রির অভিযোগে তিন কর্মচারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
Advertisement
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় যোগদানের পর তিনি হাতেনাতে তিন কর্মচারীকে আটক করেন।
আটকরা হলেন- হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের কর্মচারী মামুনুর রশিদ (৩০), আশরাফুল ইসলাম রয়েল (৩২) ও আউট সোর্সে নিয়োগকৃত কর্মচারী মো. খোকন (৩৩)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই তিন কর্মচারী বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেন। এ সুবাদে তারা করোনার নমুনা জালিয়াতি ও জাল সার্টিফিকেট বিক্রির সিন্ডিকেট তৈরি করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম জানতে পারেন। শনিবার দুপুরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা শেষে প্রমাণসহ তিন কর্মচারীকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।
Advertisement
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিয়মিত মামলা দিয়ে তাদের রোববার সকালে আদালতে তোলা হবে।
দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবু রেজা মো. মাহমুদুল হক বলেন, এ তিন কর্মচারীর সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. নাদের হোসেন বলেন, যখনই বিদেশগামী বা কোনো চাকরিজীবীর করোনা নেগেটিভ সনদের প্রয়োজন হতো তখনই এ সিন্ডিকেট করোনা নেগেটিভ সদস্যের স্যাম্পল সংগ্রহ করে বিদেশগামীর নাম দিয়ে পিসিআর ল্যাবে জমা দিতেন। পরে নেগেটিভ ফলাফল তুলে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, হাসপাতালে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। করোনাকালীন করোনা স্যাম্পল জালিয়াতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এ তিনজনকে পুলিশে তুলে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/এএসএম