জাতীয়

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৬১৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৬ হাজার ২৩৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৭ হাজার ৮৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে আট হাজার ৭৭২ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জনে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২টি।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (৯ জুলাই) শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ, তার আগের দিন বুধবার (৭ জুলাই) ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং মঙ্গলবার (৬ জুলাই) শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

শনিবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ১৮৯ জনে। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৫৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক শূন্য এক শতাংশ।

মারা যাওয়া ১৮৫ জনের মধ্যে ১২১ জন পুরুষ এবং ৬৪ জন নারী। এদের মধ্যে ১২ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বিভাগওয়ারি হিসাবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭০ জন। এছাড়া খুলনায় ৫১ জন, চট্টগ্রামে ২০ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন, বরিশালে ১০ জন, সিলেটে সাতজন, রংপুরে ১১ জন এবং ময়মনসিংহে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত ১৮৫ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৯২ জন মারা যান।

Advertisement

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।

এআরএ/এএসএম