ধর্ম

পরিবার প্রতিপালনও ইবাদাত

আল্লাহ তাআলার ইবাদাত-বন্দেগি করার জন্য মানুষের সৃষ্টি। এ ইবাদাত করতে গিয়ে আমরা নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে যাই। ভারসাম্য রাখতে পারি না। নিজের শরীর-স্বাস্থ্য-পরিবার প্রতি খেয়াল রাখি না। ভুলে যাই আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ মন্তব্য যেন কেউ করতে না পারে যে, এ যদি হয় ইসলাম, তাহলে আমরা অনেক ভাল আছি। তাই ইবাদাতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা উচিত। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ঘরে প্রবেশ করলেন তখন একজন মহিলা তাঁর ঘরে বসা ছিল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, মেয়েটি কে? আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, অমুক মেয়ে। সে তার নামাজ সম্পকের আলোচনা করছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, রাখো! তোমরা যা সামর্থ রাখো সেটা তোমাদের দায়িত্বে। আল্লাহ তাআলার শপথ! তোমরা ক্লান্ত হলেও আল্লাহ তাআলা ক্লান্ত হন না। আর তার নিকট অধিক পছন্দনীয় দ্বীন (ইবাদাত-বন্দেগি) ছিল, সম্পাদনকারী যা নিয়মিতভাবে সম্পাদন করে। (বুখারি ও মুসলিম)হাদিস থেকে শিক্ষাএক. ইবাদত-বন্দেগি করতে হবে সামর্থের মধ্যে থেকে। আল্লাহ সামর্থের বাহিরে কোনো কিছু করতে বান্দাহকে আদেশ দেন না।দুই. ইবাদাত-বন্দেগি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম হতে বিরত থাকা যাবে না।তিন. মানুষ ইবাদত-বন্দেগি করতে করতে ক্লান্ত হতে পারে। কিন্তু আল্লাহ বান্দার ইবাদাতের বিনিময় প্রদানে কখনো ক্লান্ত হবেন না।চার. দিন-রাত জাগ্রত থেকে শত শত রাকাআত নামাজ আদায় করার চেয়ে নিয়মিতভাবে অল্প ইবাদাত করা উত্তম। সকল ইবাদত বন্দেগির ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য।পাঁচ. যদি ঘরে কোন অপরিচিত নারী বা পুরুষ আসে তবে গৃহকর্তার উচিত হবে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা। সে কে? কি বলে? কেন এসেছে? ইত্যাদি। এটা পরিবারের প্রতি যত্নবান হওয়ার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কারণ, ঘরে সাধারণত শিশু ও মেয়েরা বেশি থাকে। অপরিচিত কোনো লোক এসে তাদের কোনো বিষয়ে বিভ্রান্ত করতেই পারে। পরিবারের কর্তা যদি এটার খোঁজ-খবর রাখেন তাহলে অনেক অনাকাঙ্খিত বিষয় এড়িয়ে যাওয়া যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রিসালাতের বিশাল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পরিবারের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পরিপূর্ণভাবে পালন করেছেন। তাই আমরা এ হাদিসে দেখলাম, একজন মেয়ে ঘরে আসল, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেন। আর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার সম্পর্কে বর্ণনা দিলেন।এমএমএস/পিআর

Advertisement