দেশজুড়ে

করোনা রোগীদের সেবায় নিবেদিত শার্শার চিকিৎসক দম্পতি

করোনাকালীন সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নীরবে কাজ করে চলেছেন শার্শার এক চিকিৎসক দম্পতি। এ সময় সবাই যখন বেসরকারি ক্লিনিক বন্ধ করে রেখেছেন তখন প্রতিদিন ভয়কে জয় করে মানবসেবা চালাচ্ছেন তারা।

Advertisement

তারা হলেন বেনাপোলের জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকার জোহরা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক চিকিৎসক দম্পতি ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব ও ডা. নাজমুন নাহার রানি।

জানা যায়, করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে গত বছর এ দম্পতি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর সুস্থ্য হয়ে তারা যেন এক নতুন জীবন ফিরে পান। দ্বিতীয়ধাপে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় যখন মহামারি আকার ধারণ করেছে তখন তারা আর নিজেদের গুটিয়ে রাখতে পারেননি। সরকারি দায়িত্বপালন শেষে বিকেলে নিজস্ব ক্লিনিকে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন এ দম্পতি।

সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন করোনা উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন অসংখ্য মানুষ। সাধারণ মানুষের মাঝে এক অজানা ভীতি কাজ করায় করোনা পরীক্ষায় নেই আগ্রহ। তথ্য গোপন করে উপসর্গ নিয়ে রোগীরা গ্রামের পল্লী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Advertisement

রোগীদের পরিস্থিতি বেসামাল হলে তখনই কেবল তাদের নেয়া হচ্ছে কোনো ক্লিনিক বা বড় ডাক্তারের কাছে। ঠিক এ দুঃসময়ে এ চিকিৎসক দম্পতি জীবনবাজি রেখে করোনা রোগী, গাইনি রোগী, প্রসূতি ও শিশুদের সেবা দিয়ে চলেছেন।

বাগআঁচড়া জোহরা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ক্লিনিকে রোগী আসলে প্রথমে তাদের করোনা টেস্ট দেয়া হয়। পরবর্তীতে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এখানে বিচক্ষণতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্লিনিকে করোনা পজিটিভ রোগীদের জন্য দ্রুত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়। অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু হলে শার্শার গ্রামাঞ্চলের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সহজ হবে।

Advertisement

জামাল হোসেন/এসএমএম/এএসএম