কোপা আমেরিকা ফাইনালে লড়বে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। তবে এ লড়াইটি এক অর্থে মেসি বনাম ব্রাজিল ও নেইমার বনাম আর্জেন্টিনা। কেননা চলতি আসরে এখনও পর্যন্ত এ দুই বড় তারকাই যে নিজ নিজ দলকে কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
Advertisement
তাই মেসি-নেইমারকে আটকে রাখার ওপরেই সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর কবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার। আর আর্জেন্টাইন জাদুকর মেসিকে আটকে রাখার সেই উপায় জানেন ব্রাজিল কোচ তিতে। তবে তিনি সেটি সংবাদমাধ্যমে বলবেন না।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিল কোচ বলেছেন, ‘মেসিকে আটকে রাখার উপায় আমি জানি। কিন্তু সেটা আপনাদের বলব না। আমরা তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করব না, তাদের খেলার জায়গা সংকুচিত করে দিব।’
উল্লেখ্য, চলতি কোপা আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত ৪ গোল ও ৫ এসিস্ট করেছেন মেসি। দুটিই চলতি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ। ফাইনাল ম্যাচে তাই মেসির দিকে বাড়তি নজর দিতেই হবে ব্রাজিলকে।
Advertisement
এদিকে খেলা হবে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মাঠ মারাকানায়। যেখানে তারা হেরেছে একটি মাত্র ম্যাচ। সেটিও ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে। যা এখনও মারাকানা ট্র্যাজেডি হিসেবে পরিচিত। এর বাইরে মারাকানায় আর কোনো ম্যাচ হারেনি ব্রাজিল।
শুধু তাই নয়, কোপা আমেরিকায় দুই আসর ধরেই অপরাজিত ব্রাজিল। ২০১৯ সালের আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবারও কোনো ম্যাচ হারেনি তারা। তবে এটিকে তেমন গুরুত্ব দিতে রাজি নন ব্রাজিল কোচ। তার মতে, অতীত সবসময় অতীতই। তাই সামনের দিকেই তাকাচ্ছেন তিনি।
তিতের ভাষ্য, ‘অতীত অতীতই। অতীতের দিকে তাকিয়ে সামনের নির্দেশনা মেলে না। কোপা আমেরিকার গত দুই আসরে (চলতি আসর সহ) আমরা অপরাজিত; আমাদের পরিসংখ্যান তুলনামূলকভাবে ভালো, কিন্তু এগুলোকে খুব বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখি না আমি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমরা একটা মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কাজটা গণমাধ্যম ও সমর্থকদের চেয়ে ভিন্ন। এটা প্রস্তুতি নেওয়া, অনুশীলন করা এবং মনোযোগ ধরে রাখার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং আমরা আমাদের মূল কাজগুলোর দিকে মনোনিবেশ করছি।’
Advertisement
এসএএস/এমএস