মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আরও আট হাজার ২৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪ লাখ ৯০ হাজার ২ জন।
Advertisement
শনিবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৬ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪০ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৫ জনের। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ কোটি ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭০৮ জন।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৪৭ লাখ ১১ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ২২ হাজার ৭০৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯২ লাখ ২২ হাজার ৯৭২ জন।
Advertisement
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫৬ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার ১৭৩ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৩ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। যদিও মোট মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে তারা। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৭ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ৪৯৯ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে ফ্রান্স, রাশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৫৪৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৬ হাজার ৪ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন। তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে রোমানিয়া আর পরে পাকিস্তান।
Advertisement
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর কয়েক দফায় পরিস্থিতির উন্নতি-অবনতি হয়। তবে গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে।
এসএস/এমএস