রাজনীতি

রিপনকে ছাড়াই গণমাধ্যমে কথা বললেন রিজভী

দীর্ঘ কারাভোগ শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিকেলে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে আসেন। এসময় নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রিজভী আহমেদ। এসময় পাশে ছিলেন না রিজভীর অবর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন। অন্যদিকে, গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা শেষ হওয়ার পর রিপনকে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। আপনার অবর্তমানে যিনি ( রিপন) দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি এখন বহাল থাকবেন কি না এমন প্রশ্নেরর জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, আসাদুজ্জামান রিপন ছাত্র জীবনে আমার নেতা ছিলেন। তিনি দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তিনি তার দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের দলের মহাসচিব গ্রেফতার হলেও সেখানে অন্য কেউ দায়িত্ব পালন করেন। কারাগারের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, গোটা দেশ প্রাতিষ্ঠানিক কারাগারে পরিণত হয়েছে। ভেতরে বাহিরে কোন পার্থক্য নেই। ৫ জানুয়ারির পর সরকারের সব বৈধ সত্ত্বা বিবর্জিত হয়েছে। ৭২-৭৫ সালের মতো রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।  অবৈধ সত্ত্বা নিয়ে জনগণের কাধের উপর বসে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের পতন হয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রে বন্দী রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এ বন্দীশালা থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি।রিজভী বলেন, সাবলীল স্বচ্চ স্বতঃস্ফুর্ত এবং সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাবস্থা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী কাজ করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।তিনি বলেন, সরকার গায়ের জোরে নির্বাচন নিজেদের অনুকূলে নেয়ার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে ধরপাকড় ও নানাভাবে হয়রানি করছে। নির্বাচনে আগে উৎসবমুখর পরিবেশ না থাকলে ও যুদ্ধাবস্থা ও কারফিউ জারির মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।রিজভী বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে না পারলে সরকার যে দুর্বিসহ একদলীয় শাসন ব্যাবস্থা কায়েম করতে চায় তা প্রমাণ হবে।এমএম/এসকেডি/এমএস

Advertisement