জাতীয়

মিরপুরের চেকপোস্টে গাড়ির চাপ নেই

গত সোমবার থেকে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রাজধানীর সড়কে বাড়তে থাকে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল থেকেই প্রধান সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি ছিল। অলি-গলির দোকান, বাজারে মানুষের ভিড়ের পাশাপাশি ছিল রিকশার জট। মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

Advertisement

সকালে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় পুলিশের দুটি চেকপোস্টে পুলিশকে বেশ চাপমুক্তভাবেই কাজ করতে দেখা গেছে। গাড়ি, মোটরসাইকেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিচ্ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। অন্যদিকে রিকশা চলেছে বাধাহীনভাবে। ১০ নম্বর গোলচত্বরের চারপাশে প্রচুর খালি রিকশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীর অপেক্ষায়।

মিরপুর-১০ এ দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য চিন্ময় বলেন, একদিকে শুক্রবার অন্যদিকে লকডাউন। সে কারণে এমন চিত্র। রাস্তায় মানুষ, গাড়ির সংখ্যাও কম। তারপরেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কয়েকটি মোটরসাইকেলে যাত্রী নেয়ার অভিযোগে, যাত্রীকে নামিয়ে জরিমানা করা হয়েছে।

মিরপুর-১০ থেকে যাত্রাবাড়িতে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজছিলেন গৃহিনী সঞ্চিতা দাস ও তার বোন রীমা। কোনো রিকশা যেতে না চাইলে অগত্যা দুটি ভাড়ায় মোটরসাইকেলে ওঠেন তারা।

Advertisement

জাগো নিউজ কে রীমা বলেন, মালপত্র নিয়ে রোগীর কাছে যেতে হচ্ছে। ভেঙে ভেঙে যাওয়া যাবে না মাল নিয়ে। ১২০০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল ভাড়া করলাম।

দুপুর ১টায় মিরপুর ২ নম্বরে গিয়ে দেখা যায়, বেশকিছু রিকশা দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীর আশায়। রিকশাচালক সাজেদুল বলেন, সকাল থেকে মাত্র ৩০ টাকা ভাড়া পেয়েছি। এখন ভাড়া নাই অনেক কষ্টে দিন পার করছি।

তবে অলিগলিতে একটু ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।

মিরপুর রূপনগর, ১১, ৬ নম্বর কাঁচাবাজারের দোকানগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গলির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের শারীরিক দূরত্ব ছিল না অনেকক্ষেত্রেই, অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক।

Advertisement

এসএম/এসএস/এএসএম