আইন-আদালত

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যোসেফের সাজা কমলো আপিলে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ী মোস্তফা হত্যা মামলায় আলোচিত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তোফায়েল আহমেদ জোসেফের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মামলার আপর এক আসামি কাবিল সরকারকে যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। জোসেফ ও কাবিলের আপিল খারিজ করে বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় দেন। এদিন আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এসএম শাহজাহান। ১৯৯৬ সালে লালমাটিয়ায় ব্যবসায়ী মোস্তফা নামে ফ্রিডম পার্টির এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ ছিল আসামির বিরুদ্ধে। হত্যার অভিযোগে ব্যবসায়ীর স্ত্রী রশিদা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই বছরের ৮ মে। পরে ওই বছরের ৪ অক্টোবর চার্জশিট দেয় থানা পুলিশ। এ মামলায় ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল জোসেফ ও মাসুদ জমাদারকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন; কাবিল সরকার, হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদ। হারিস ও আনিস পলাতক থাকায় তারা হাইকোর্টে আবেদন করেননি।তবে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলে ২০০৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মাসুদ জমাদারকে খালাস দিয়ে জোসেফ ও কাবিলের রায় বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে জোসেফ ও কাবিল আপিলে যাওয়ার পর বুধবার এই রায় দেন আপিল বিভাগ।প্রসঙ্গত, বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ওয়াদুদ আহমেদের ছোট ছেলে তোফায়েল আহমেদ জোসেফের বড় ভাই হারিস আহমেদের নামও রয়েছে পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়। হারিস বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।নব্বইয়ের দশকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তাদের আরেক ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে জোসেফের বড় ভাই হারিস আহমেদ নিজেকে মোহাম্মদপুর এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের নেতা হিসেবে। ঢাকার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কমিশনার পদে নির্বাচনও করেছিলেন তিনি। জোসেফও এক সময় নিজেকে ছাত্রলীগের মোহাম্মদপুর থানার নেতা হিসেবে দাবি করতেন।এফএইচ/এসএইচএস/এমএস

Advertisement