শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে দুর্যোগের ঘনঘটা। বেতন-ভাতা নিয়ে লঙ্কান ক্রিকেটারদের মধ্যে অসন্তোষ চলছে। এজন্য বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি তারা। দাবি আদায় হলে তবেই সাক্ষর করবেন, এমন এক আন্দোলনে শরীক হয়েছেন ক্রিকেটাররা।
Advertisement
যে আন্দোলনে শক্ত ভূমিকা পালন করছেন কুশল পেরেরা। আর তারই জেরে হারাতে বসেছেন নেতৃত্ব। গত মে মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন কুশল।
তার অধীনে তিনটি সিরিজেই বাজেভাবে হেরেছে লঙ্কানরা। তবে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে নয়, কুশল পেরেরা মূলত নেতৃত্ব হারাচ্ছেন আন্দোলনে নাম জড়ানোর কারণেই।
পেরেরার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি বোর্ড ও ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জ্বালানি দিচ্ছেন। চুক্তিতে স্বাক্ষর না করতে ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করেছেন।
Advertisement
আর এই সুযোগটাই যেন নিয়ে নিলেন দাসুন শানাকা। ‘ইএসপিএনক্রিকইনফো’র প্রতিবেদনে এসেছে, প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্দোলনের বাইরে গিয়ে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছেন শানাকা। ‘পুরস্কার হিসেবে’ যেন তাকে শ্রীলঙ্কার সীমিত ওভারে দলের নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদন সত্য হলে, ভারতের বিপক্ষে ১৩ জুলাই থেকে ঘরের মাঠে শুরু ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দেবেন শানাকা। তারকা ক্রিকেটাররা চুক্তিতে না আসলে দ্বিতীয় সারির এক দলের অধিনায়ক হবেন তিনি।
কারণ লঙ্কান বোর্ড ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, যদি মূল ক্রিকেটাররা চুক্তি না করেন, তবে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির দলই সাজাবেন তারা।
শানাকার নিয়োগ হয়ে গেলে গত চার বছরেরও কম সময়ে শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ অধিনায়ক হবেন তিনি। ২০১৮ সালের শুরু থেকেই এই মিউজিক্যাল চেয়ারে বদল চলছে। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, লাসিথ মালিঙ্গা, দিমুথ করুনারত্নে আর কুশল পেরেরা।
Advertisement
শানাকা এর আগে একবারই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৯ সালে তার নেতৃত্বে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল শ্রীলঙ্কা।
এমএমআর/জেআইএম