জাতীয়

একদিনে রোগী শনাক্তে নতুন রেকর্ড

আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৩৬ হাজার ৮৫০ নমুনা পরীক্ষায় মোট ১১ হাজার ৬৫১ জনের দেহে মিলেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। এর আগে দেশে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানানো হয়েছিল গত ৬ জুলাই। নতুন শনাক্ত মিলিয়ে দেশে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল নয় লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে।

Advertisement

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ১৯৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ হাজার ৭৯২ জনে। দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২০১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় গত বুধবার (৭ জুলাই)।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা জানানোর পাশাপাশি বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৮৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ ও ৬৬ জন নারী ছিলেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৪৫ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন ও বাসায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বয়সের হিসাবে এদের মধ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সী দুজন, ২০ বছরের বেশি বয়সী নয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১০৭ জন ছিলেন।

Advertisement

এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছিলেন ৬৫ জন, চট্টগ্রামের ৩৭ জন, রাজশাহীর ১৫ জন, খুলনার ৫৫ জন, বরিশালের তিনজন, সিলেটের পাঁচজন, রংপুরের নয়জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১০ জন ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৬০৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩৮ হাজার ২৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৬ হাজার ৮৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টিতে। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ।

গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৪১ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার হয়েছে ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এমইউ/এইচএ/জেআইএম

Advertisement