আইন-আদালত

শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ দুইজনকে হাইকোর্টে তলব

আদালত অবমাননার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনসহ দুইজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার হাইকোর্টে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।এক আবেদনের শুনানির পর বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে ফাহিমা খাতুনসহ সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।শিক্ষা সচিব, ফাহিমা খাতুন ও হেলাল উদ্দিনসহ সাত কর্মকর্তাকে আদালত অবমাননার এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন- ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এআরএম কামরুজ্জামান কাকন। আইনজীবী আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রংপুর মডেল কলেজের চার শিক্ষকসহ পাঁচজনের এমপিও বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার পরও একই বিষয়ে তাদের অধিদফতরের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়। এটি আদালত অবমাননার শামিল। তাই আজ (বুধবার) এই আবেদন করা হয়। আদালত শিক্ষাসচিবসহ সাত জনকে রুল দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ব্যাখ্যা জানাতে দুইজনকে তলব করেছেন।মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নিয়োগ বৈধ নয় বলে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি অধিদফতর রংপুর মডেল কলেজের ওই পাঁচজনের বেতন-ভাতা হিসাবে নেয়া অর্থ ফেরত চেয়ে এমপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়।ওই পাঁচজন হলেন- কলেজের সহকারী অধ্যাপক (রসায়ন) আহসান হাবীব, সহকারী অধ্যাপক (হিসাববিজ্ঞান ) মো. তৈয়ব মিয়া, প্রভাষক (দর্শন) কাজী খালেদ, প্রভাষক (ইংরেজি) জিকরুল ইসলাম ও প্রদর্শক (কম্পিউটর) মো. মমিনুর রহমান।অধিদফতরের চিঠির বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে তারা রিট আবেদন করলে ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল  জারি করেন। এরপর চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর অধিদফতরের আরেক চিঠিতে কেন ওই পাঁচজনের এমপিও স্থগিত করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাদের নেয়া বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিয়ে চালানের মূলকপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তা অধিদফতরে জমা দিতে বলা হয়।এ অবস্থায় তৈয়ব মিয়াসহ অন্যরা গত মঙ্গলবার আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে এই আবেদন করেন, যার ওপর শুনানি শেষে বুধবার রুল জারি হলো।এফএইচ/আরএস/এমএস

Advertisement