দেশজুড়ে

বন্ধ বিদ্যালয়ের বারান্দায় তাসের আসর, শ্রেণিকক্ষে ভুট্টার মোচা

করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কয়েকজটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বারান্দায় বসছে জুয়া ও মাদকের আসর। স্থানীয়রা শ্রেণিকক্ষে রাখছেন গরু-ছাগল ও খড়ি।

Advertisement

স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর এমন বেহাল দশা দেখা দিয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলোর অফিস খোলা থাকায় পরিবেশ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও দেখভালের অভাবে শোচনীয় অবস্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর।

উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে অযত্নে-অবহেলায়। শ্রেণিকক্ষ ও বারান্দা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের কক্ষে ফসলি জিনিসপত্র ও গরু-ছাগল রাখছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

বিশেষ করে প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতা ও প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো স্থানীয়দের ফসলী জিনিসপত্র রাখা, মদক ও তাস খেলার অভায় অরণ্যে পরিনত হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে মাদক ও জুয়ার আসর বসছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার পশ্চিম সারডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খোলা। শ্রেণিকক্ষের দরজাও খোলা। আর সেখানে স্থানীয় লোকজন ভুট্টার মোচা, ফসলি অন্যান্য জিনিসপত্র রেখেছে। পাশের আরেক ভবনে দেখা যায় ভুট্টার খড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ বারান্দা ভরপুর।

উপজেলার খানপাড়া ও গড্ডিমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খোলা। স্থানীয় কিছুলোক দিনদুপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বারান্দায় বসে তাস খেলছেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক থেকে শুরু করে কেউই কোনো খোঁজখবর নেন না। অযত্নে-অবহেলায় শ্রেণিকক্ষগুলো অরক্ষিত থাকছে।

Advertisement

এ বিষয়ে পশ্চিম সারডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার ছবি বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন হয়তো এসব রেখেছে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মো. রবিউল হাসান/এসআর/জিকেএস