চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আসমা আক্তার (৩৮) নামে এক নারীর করোনা পজিটিভ শুনে পালিয়ে গেছেন স্বামীসহ অভিভাবকরা। একদিন পর অবস্থার অবনতি হলে তার স্বামীকে ফোন দেয় চমেক কর্তৃপক্ষ। তারপর ফোনও বন্ধ করে দেন আসমার স্বামী।
Advertisement
সবশেষ বুধবার (৭ জুলাই) রাত ১টার দিকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান ওই নারী। মারা যাওয়ার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরও হাসপাতালের মর্গেই রয়েছে আসমার মরদেহ।
পুলিশ জানায়, আসমা আক্তার চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদের মৌলভীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোজামমেলের স্ত্রী। গত ৬ জুলাই তাকে চমেক হাসপাতালে আনেন স্বামীসহ কয়েকজন অভিভাবক। হাসপাতালে আনার পর তাকে করোনা পরীক্ষা করা হয় (র্যাপিড টেস্ট)। পরীক্ষায় ওই নারীর রিপোর্ট পজিটিভ শুনে তখনই পালিয়ে যান স্বামীসহ অভিভাবকরা। এরপর তাকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করেন চিকিৎসকরা।
বুধবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তির সময় দেয়া ওই নারীর স্বামীর ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। এরপর তিনি ফোনই বন্ধ করে দেন। রাতে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গেই পড়ে আছে আসমার মরদেহ।
Advertisement
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনা ওয়ার্ডে এক নারীর মৃত্যুর প্রায় ১৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের মর্গেই পড়ে আছে মরদেহ। তার স্বামী বা অন্য কোনো অভিভাবকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
মিজানুর রহমান/জেডএইচ/জেআইএম