টানা দুই কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক।
Advertisement
এর আগে মঙ্গল ও বুধবার টানা দুই কার্যদিবস বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে কমে মূল্যসূচক। বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেও শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় প্রথম ১৪ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। লেনদেনের ৫২ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
পরের আধাঘণ্টায় দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের আবারও দরপতন হয়। এতে আবারও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ৯ পয়েন্ট কমে যায়।
Advertisement
শেষ দুই ঘণ্টার লেনদেনে সূচকে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ২১২ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অপর দুই সূচক। এর মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯১টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৫টির। ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৯১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় এক হাজার ৫৭৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
Advertisement
টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১০২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম ৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেয়া কসমেটিকস।
এছাড়াও ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, আমান ফিড, ন্যাশনাল ফিড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এমএল ডাইং, পাওয়ার গ্রিড এবং অ্যাকটিভ ফাইন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমএএস/এআরএ/জিকেএস