দেশজুড়ে

রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত

রাজশাহী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন অফিসার ডা. কাইয়ুম তালুকদার।

তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলার করোনা শনাক্তের পরিসংখ্যান রিপোর্ট অনুযায়ী- রাজশাহীতে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৪৩১ জনের। এতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮০ জন।

ডা. কাইয়ুম তালুকদার জানান, জেলায় আরটিপিসিআর মেশিনে ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১১৫ জন। রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় মোট ২২২ জনের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। এতে শনাক্ত হন ৫৫ জন। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) থেকে ৭৩১ জনকে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে ৮৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।

Advertisement

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জিন এক্সপার্ট টেস্ট হয়েছে ৪৯টি, এর মধ্যে ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে পরিসংখ্যান রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

চলামন লকডাউনের কারণে জেলায় করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘লকডাউনের কারণে মানুষ বাইরে কম বের হতে পারছেন। তাছাড়া খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। আবার বাইরে বের হলেও প্রশাসনের চাপে সবাইকে মাস্ক পরে বের হতে হচ্ছে। আর এসব কারণেই মূলত করোনার সংক্রমণ কমেছে। সংক্রমণ কমলে স্বাভাবিকভাবেই শনাক্তও কম হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউন ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থান করোনা প্রতিরোধে বেশ কার্যকর প্রভাব ফেলেছে। কয়েক দফার লকডাউনে তা প্রতীয়মান। তবে শুধু লকডাউন নয়, স্বাস্থ্যবিধিও সকলকে মানতে হবে। তাহলেই করোনার সংক্রমণ ও শনাক্ত কমে যাবে, অন্যথায় নয়।’

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে আটজন ও উপসর্গে ১০ জন মারা গেছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতাল করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী চারজন। মৃতদের অধিকাংশের বয়স ৩৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।

ফয়সাল আহমেদ/এমআরআর/এএসএম