দেশজুড়ে

মাগুরায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, শয্যা সঙ্কটের আশঙ্কা

মাগুরায় দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এতে যে কোনো সময় অক্সিজেন ও হাসপাতালের শয্যা সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রোগীর সংখ্যা বাড়ার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা।

Advertisement

বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে মাগুরা ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৬ জন। হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য শয্যা রয়েছে ৫০টি। সেখানে ভর্তি আছেন ৪৫ জন। বাকি তিন উপজেলা মহম্মদপুর, শালিখা ও শ্রীপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর জন্য শয্যা রয়েছে পাঁচটি করে।

সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সেখানে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি। অনেকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে শেষ মুহূর্তে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। এ রোগীরাই বেশি মারা যাচ্ছে।

মাগুরা পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাদিকুর রহমান বলেন, চলতি মাসের ১ তারিখে তার বাবা করোনা পজিটিভ হয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভতি হন। এখানে চিকিৎসক ও নার্সরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। বর্তমানে বাবা কিছুটা সুস্থ রয়েছেন। এখানে করোনা ওয়ার্ডে রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

এদিকে শ্রীপুর উপজেলার মস্তোজাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ মোল্ল্যা নামের এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে মারা যান। তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে ১২ দিন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে করোনা ওয়ার্ডে ভতির কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।

মাগুরা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) বিকাশ কুমার শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, মাগুরা সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যার হলেও ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে। এই হাসাপাতালে এখন সাধারণ রোগীর চেয়ে করোনা উপসর্গের রোগী বেশি ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন থাকলেও সেটা শুধু নতুন ভবন পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। পুরোনো ভবনে অক্সিজেন সাপোর্ট নেই। ওখানে শুধু বোতলজাত অক্সিজেন দেয়া হয়। বর্তমানে হাসপাতালে অক্সিজেনের ছোট বোতল ৬০টি আর বড় বোতল ৩২টি রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মাগুরার সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, মাগুরায় টেলিমেডিসন সেবা চালু রয়েছে। সেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আগের চেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে বলেও জানান এ চিকিৎসক।

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত জেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৬২ জনের। এরমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৬৯ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের।

Advertisement

আরাফাত হোসেন/এসআর/এমএস