টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী গাজুটিয়া-সিঙ্গুরিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. হামিদ আলীর অনার্সপড়ুয়া মেয়ে হামিদা আক্তার। দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন বিশালাকৃতির দুটি গরু। বর্তমানে ষাঁড় দুটির ওজন যথাক্রমে ৩৬ ও ৩৫ মণ। নাম দেয়া হয়েছে ‘মানিক’ ও ‘রতন’। জেলার সবচেয়ে বড় এই গরু দুটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন হামিদ আলীর বাড়িতে।
Advertisement
গরু দুটি এবারের কোরবানির হাটে বিক্রি করে নিজের একটি খামারের স্বপ্ন দেখছেন এর মালিক ফাতেমা আক্তার। তবে তিনি কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন করোনাভাইরাসের প্রকোপে এর ন্যায্য দাম নিয়ে। তিনি ৩৬ মণ ওজনের মানিকের দাম চাচ্ছেন ১৪ লাখ টাকা আর ৩৫ মণ ওজনের রতনের দাম চাচ্ছেন ১৩ লাখ টাকা।
চার বছর ধরে আব্দুল হামিদের বাড়ি পরিবারের সদস্যের মতোই বড় হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড় দুটি। তাদের থাকার ঘরে রয়েছে দুটি সিলিং ফ্যান আর মশারি। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রয়েছে খড়, ভুষি, কাঁচাঘাস, মাল্টা, পেয়ারা, কলা, মিষ্টি কুমড়া ও মিষ্টি আলু। রোগ জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন তাদের সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। তাদের প্রতিদিন দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসছেন।
আব্দুল হামিদা মাস্টার বলেন, ‘মানিক-রতনকে আমরা চার বছর ধরে পালছি। গত বছরও কোরবানির হাটে বিক্রি করিনি। নাম ধরে ডাকলে মাথা ও কান নাড়িয়ে সাড়া দেয়। তবে লকডাউনের কারণে এদের দাম নিয়ে চিন্তিত।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাড়ি থেকেই তাদের বিক্রি করার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে আমরা নিজ খরচে গরু দুটি ক্রেতাদের বাড়িতে পৌঁছে দেব।’
নাগরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো.সোহেল রানা বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশ কয়েকজন খামারি কিছু ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। তার মধ্যে গাজুটিয়া এলাকার হামিদ মাস্টারের মানিক-রতন অন্যতম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি অবলম্বন করে ষাঁড় দুটি ঈদুল আজহার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন ন্যায্যমূল্য পেলে এদের মালিক উপকৃত হবেন।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে অনলাইন ‘কোরবানির হাট নাগরপুর’ নামে একটি পেজ খোলা হয়েছে। তার মাধ্যমেও খামারিরা গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারবেন।
আরিফ উর রহমান টগর/এসআর/জেআইএম
Advertisement