জাতীয়

করোনায় মৃতের ৮০ শতাংশই পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রবীণ : তরুণরাই দায়ী!

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম কারও মৃত্যু হয়। বুধবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত সারাদেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ২ জন (৭০ দশমিক ৫৬ শতাংশ) ও নারী ৪ হাজার ৫৯১ জন (২৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ)।

Advertisement

বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশেরও বেশির বয়স ৫০ বা তদূর্ধ্ব। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রায় ৫৬ শতাংশের বয়স ৬০ থেকে ১০০ বছরের বেশি, আর ২৪ শতাংশ ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে রেকর্ড ২০১ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ১৬২ জনের বয়স ৫০ বছরের বেশি। সর্বোচ্চ ১১৫ জন ষাটোর্ধ্ব, ৪৭ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব। এছাড়া দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ৯ জন এবং চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন।

স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাসার বাইরে তেমন বের না হলেও তারা অধিক সংখ্যক আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছেন। একই পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ায় তাদের কেউ না কেউ কখনও উপসর্গসহ, কখনওবা উপসর্গবিহীন ভাইরাস বহন করে আনছেন। তাদের মাধ্যমে ভাইরাস বয়স্কদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

Advertisement

মোট মৃতদের বয়সের হিসাবে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ৫২ জন (শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৯৯ জন (শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩০১ জন (১ দশমিক ৯৩ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৮৬৭ জন (৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১ হাজার ৭৯৪ জন (১১ দশমিক ৫১ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৩ হাজার ৭৬৮ জন (২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮ হাজার ৭১২জন (৫৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ)।

এদিকে, সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ ও ৮২ জন নারী। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৩ জন, বাসায় ১২ জন মারা যান। এছাড়া মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় একজনকে।

এমইউ/এসএস/এমএস

Advertisement