করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষবর্ষের সোয়া দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থীর ফল ঝুলে আছে। দেড় বছর আগে পরীক্ষা শুরু হলেও এখনো তা শেষ হয়নি।
Advertisement
সম্প্রতি তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হলেও মৌখক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা আটকে আছে। বর্তমানে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে পেছনের পরীক্ষার নম্বর গড় মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশের চিন্তা-ভাবনা করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনার্স শেষবর্ষের শিক্ষার্থীদের আটকে থাকা মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। কিছু কলেজের অল্প শিক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। যৌক্তিক কারণে যারা এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি, তাদের আবারো সুযোগ দিতে কলেজগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘বিজ্ঞান বিভাগের ৩৬ হাজার পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি বলে শেষবর্ষের ফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষকদের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে আলোচনা হলে তারা অনলাইনে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি চাইলেও আমরা তা অনুমতি দেয়নি। আমরা চাই পরীক্ষার্থীরা ল্যাবে তারা এ পরীক্ষাটি দেবে, এটি আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ল্যাবে গিয়ে পরীক্ষা নিয়ে দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ কারণে আর কিছু দিন অপেক্ষা করা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ল্যাব পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর গড় করে তার ভিত্তিতে নম্বর নির্ধারিত ফলাফল প্রকাশ করে সার্টিফিকেট দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলকে প্রতিবেদন বা রিপোর্ট দিতে হবে। এটি আগেও দু-একটা ক্ষেত্রে করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা গেছে, সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দুই হাজার ২৫৮টি কলেজে ২৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে অনার্সের চারটি বর্ষে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
তার মধ্যে দুই লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী শেষবর্ষের ফলের অপেক্ষায়। বিজ্ঞান বিষয়ের ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর ল্যাব পরীক্ষা ও কয়েকজনের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়নি বলে ফল ঝুলে আছে।
Advertisement
এমএইচএম/এএএইচ/জেআইএম