প্রতিদিনই বাড়ছে ফরিদপুরের ২৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগীদের চাপ। ফরিদপুর ছাড়াও পাশের রাজবাড়ী, মাগুরা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহ থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
Advertisement
এদিকে হাসপাতালে রোগীদের স্বাভাবিক চিকিৎসা দিতে ১২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগের জন্য সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোগীদের চাপ বাড়ায় সম্প্রতি ২৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বুধবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৩৬৬টি শয্যা ছিল। এখানে বর্তমানে কাজ করছেন ৬৪ জন চিকিৎসক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, হাসপাতালে যে পরিমাণ চিকিৎসক রয়েছেন তা যথেষ্ট নয়। আমাদের আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। এজন্য সম্প্রতি ১২৫ জন চিকিৎসক চেয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে।
Advertisement
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ফরিদপুর শাখার সভাপতি আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, সাধারণ রোগীর চেয়ে করোনা রোগীর চিকিৎসায় দ্বিগুণেরও বেশি চিকিৎসক দরকার হয়। যে হারে করোনা রোগীর ভিড় বাড়ছে তাতে বর্তমান জনবলে সংকুলান হচ্ছে না। এজন্য ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসক বাড়ানোর আবেদনটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা দরকার।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, আশা করছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে। এ হাসপাতালের ৬৫ জন চিকিৎসককে শরিয়তপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বদলির আদেশ জারির পর সে আদেশ স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/এমএস
Advertisement