রাজশাহী বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
Advertisement
বুধবার (৭ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কলেজের শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মজনুর বাড়ির সামনের ওষুধের দোকানে গিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হট্টগোল করেন মেয়র মুক্তার আলী। তাদের ভয়ে মনোয়ার হোসেন মজনু বাড়িতে ঢুকলে তারাও সেখানে গিয়ে তাকে মারধর করে ভাঙচুর চালায়। এসময় মেয়র ও তার লোকজন কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করেন।
ওই শিক্ষককে মারধরের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে ওই কলেজ শিক্ষক প্রচারণায় অংশ নেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই তাকে মারধর করা হয়।
Advertisement
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মনোয়ার হোসেন মজনু বাদী হয়ে মেয়র মোক্তার আলী (৪৫) ও একই এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. অঙ্কুরসহ (৩২) অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন।
পরে পুলিশ মেয়র ও তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মেয়রের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি, চারটি গুলির খোসা, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি বন্দুক, একটি এয়ার রাইফেল, শটগানের ২৬ রাউন্ড গুলি, ১০ গ্রাম গাঁজা, সাত পুড়িয়া হেরোইন, ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৮ লাখ টাকার স্বাক্ষর করা একটি চেক ও নগদ ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। মেয়র ও তার ছেলে এ ঘটনায় পালিয়ে গেলেও মেয়রের স্ত্রী ও তার দুই ভাতিজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়র ও তার ছেলেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। মেয়র বলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।
ফয়সাল আহমেদ/আরএইচ/এমএস
Advertisement