রেজাউল করিম চৌধুরী
Advertisement
সমম্বিত উদ্যোগ ও নাগরিক সচেতনতা স্মার্ট সিটি গড়ার পূর্বশর্ত। আর্থিক দেনা, উন্নয়ন কাজের বিড়ম্বনা ও বৈশ্বিক মহামারীর দুঃসময়কে সাথে করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরের মানুষের সেবায় সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে থেকেই উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাজে সমম্বয় সাধন অবশ্যই প্রয়োজন মনে করি। সমন্বয়ের অভাবে জনগণের অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়, নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ে। ফলে সরকারী সেবা সংস্থাগুলোর উপর মানুষের মনে বিরূপ ভাব, আস্থার সংকট ও অসহযোগিতার মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।
সকলেই অবগত আছেন, চট্টগ্রামেও করোনার ২য় ঢেউ তথা ভারতীয় ধরন উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে। করোনার এ ঢেউ মোকাবেলায় জনসাধারণকে সচেতন ও সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, শপিংমল ও ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপন করেছি। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইতিমধ্যে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এর আগে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে। আমরা এ নির্দেশনা সম্পর্কে জনগণের কাছে তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। নিজে সুরক্ষিত থাকার স্বার্থে, পরিবার পরিজন ও অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে সরকারী বিধিনিষেধ ও লকডাউন কঠোরভাবে মানতে হবে। করোনার দ্বিতীয় দফার আক্রমণের শুরুতেই আমরা সংক্রমিতদের চিকিৎসা নিশ্চিতে ৫০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার খুলেছি। নগরীর লালদিঘী পাড়ের চসিক পাবলিক লাইব্রেরিতে খোলা আইসোলেশন সেন্টারটির ৩৫টি শয্যায় পুরুষ এবং ১৫টি শয্যায় নারীর রোগীর ২৪ ঘণ্টা সুচিকিৎসা দিতে সক্ষম।
Advertisement
প্রয়োজনের নিরিখে আরো কিছু আইসোলেশন সেন্টার খোলার চিন্তা আমাদের রয়েছে। এজন্য ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনিশিয়ান, স্বাস্থ্যকর্মী, সমাজের ধনশালী ব্যক্তিসহ সকল সচেতন মানুষের সহযোগিতা আমাদের সাথে থাকবে বলে আমরা আশা করি। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই ১০০ দিনের কাজের পরিকল্পনায় রুটিন কাজকে অব্যাহত রেখে অধিকতর জরুরী কিছু সেবা কার্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্যাচওয়ার্ক শুরু করি। মশক নিধন, পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, বেহাল সড়কগুলোর সংস্কার এবং আলোকায়নসহ চসিকের সেবামূলক পরিধিতে গতিশীলতা আনয়ন এবং আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই ও উপায় অন্বেষণ করেছি।
প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে নগরের ভাঙা রাস্তা মেরামতে শতভাগ সাফল্য এসেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেকটা গতিশীলতা এসেছে। নগরের ৩০টি রাস্তার ৭৬ কিলোমিটার অংশে পোল বসিয়ে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। আরো নানা স্থানে আলোকায়নের কাজ চলমান রয়েছে। ১০০ দিনের প্যাচ ওয়ার্ক থেকে অনেকটা সন্তোষ জনক সুফল আসায় দ্বিতীয় দফায় আরো ১০০দিনের প্যাচ ওয়ার্ক ঘোষণা করি। এর আওতায় চলমান কাজের অংশ হিসেবে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের বিস্তীর্ণ এলাকাতে নতুন করে এলইডি লাইট সমেত ল্যাম্প পোস্ট স্থাপন করে আলোকিত করা হয়েছে। মানুষের নিরাপদ হাঁটা চলার জন্য নগরীর রাস্তার দুপাশে ফুটপাত রাখা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে কিছু লোক ফুটপাত দখল করে ব্যবসা বাণিজ্য খুলে বসে বৃহত্তর জনগোষ্ঠির অসুবিধা সৃষ্টি করে চলেছে।
আমরা ফুটপাতসহ, খাল, নালার উপর থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছি। দখলদাররা নিজ দায়িত্বে অবৈধ ভাবে স্থাপিত দোকানপাট, স্থাপনা সরিয়ে না নিলে আমরা সেসব স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছি। জনস্বার্থ রক্ষায় আমরা কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি নই। এর মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি, বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যার কারণে সেবা কাজের মান ও গতি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে হয় না। সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিতরণ বিভাগসহ সরকারী সেবা সংস্থাসমূহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমম্বয়ের অপর্যাপ্ততা ও নাগরিক সচেতনতার ব্যাপক ঘাটতি।
মশক নিধনে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেও যতটুকু সাফল্য আসার কথা তা আসেনি। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা, জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেওয়ায় নালা নর্দমার স্থির ময়লা পানিতে মশকের প্রজনন কয়েকশ গুণ বৃদ্ধি পায়, তদুপরি মশক নিধনে সংগৃহীত তরল ওষুধের কার্যকারিতা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হয়নি। অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা ও জলামগ্নতা চট্টগ্রামের দীর্ঘ দিনের সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সহিত চট্টগ্রামের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, মেগা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।
Advertisement
২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়, এ কাজ এখনো শেষ হয়নি। নগরীর পানি নিস্কাশনের প্রধানতম খাল ও নালা গুলোর প্রায় প্রত্যেকটির জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেয়া রয়েছে এবং খাল ও নদীর সংযোগ স্থলে বাঁধ দিয়ে স্লুইচ গেইট ও ওয়াটার রেগুলেটর নির্মানের কাজ অসম্পূর্ণ। তাই বর্ষা মৌসুম শুরুর অনেক আগে থেকেই শংকা করছিলাম অল্পবৃষ্টিতেই অন্ধ পানি নগরীর অলি, গলি ও রাস্তাঘাট ডুবিয়ে বাসাবাড়ীতে প্রবেশ করে অবর্ণনীয় দুর্দশার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সিডিএকে অনুরোধ করেছিলাম বর্ষা মৌসুমের জন্য অস্থায়ীভাবে ও দ্রুততার সহিত খাল-নালার বিভিন্ন জায়গার বাঁধগুলো অপসারন করতে এবং খালের মুখে পানি বের করার জন্য অস্থায়ী পথগুলোকে আরো সম্প্রসারিত করতে।
সিডিএ আমার অনুরোধ রাখতে পারেনি বা উপেক্ষা করেছে, তাই মৌসুমের প্রথম পসলা বৃষ্টিতেই নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। বৃষ্টির পানিতে উন্নয়নও নির্মান কাজের বালি, মাটি, বর্জ্য ও আবর্জনা খাল নালায় পতিত হয়ে জমে গেলে কয়েক ঘন্টা সময়ের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে তা অপসারণ করে এবং কিছু কিছু বাঁধ কেটে দিয়ে পানি চলাচলের রাস্তা করে দিই। ফলে, দুর্ভোগের এ মাত্রা আর বাড়তে পারেনি। তবুও ভারী বৃষ্টিপাত হলে এখনো নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যাচ্ছে, দ্রুততার সাথে পানি অপসারণ হচ্ছে না।
চসিকের নিয়মিত পরিষ্কার অভিযানে দেখা যায় আবর্জনার এক তৃতীয়াংশই থাকে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের বর্জ্য। এসব বর্জ্য অসচেতনভাবে খাল নালায় নিক্ষেপ করছে মানুষ। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশনে অন্তরায় হয়ে আছে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের বর্জ্য। এমন সময়ে চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা, পরিবেশ রক্ষা ও কর্ণফুলী নদীর প্রবহমানতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং কাজে বড় বাঁধা এসব প্লাস্টিক পণ্য ও পলিথিন। পলিথিনের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে নদী ও শহর বাঁচাতে পর্যায়ক্রমে পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে চাই আমরা। জনগনকে এসব পলিথিন ব্যবহার পরিহার করে বিকল্প ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য যত্রতত্র না ফেলে জমা করতে হবে যাতে রিসাইক্লিং জন্য সংগ্রহ করা যায়। এ ব্যাপারে সর্বমহল থেকে চসিককে সহযোগিতা করতে হবে।
নগরীর উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার জন্য আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) জন্য ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছি আমরা। বাজেটে নিজস্ব উৎসে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫২ কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও চসিকের সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে আয়বর্ধক প্রকল্পসমূহকে আরো জোরদার ও নতুন নতুন প্রকল্প সৃষ্টি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এগুচ্ছি আমরা।
সিটি কর্পোরেশন নগরবাসীর কাছ থেকে কর নিয়েই নগরসেবার কাজ চালায়। এই নির্দিষ্ট আয় দিয়ে সেবার পরিধি বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই স্বনির্ভর হতে হবে। ইতিমধ্যে বেপারিপাড়ায় আগ্রাবাদ কমার্শিয়াল শপিং কমপ্লেক্স ও ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলীর ফইল্লাতলি কিচেন মার্কেট উদ্বোধন করা হয়। নগরীতে পর্যায়ক্রমে আরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কাঁচাবাজারগুলোকে বহুতল কিচেন মার্কেটে রূপান্তর করা হবে। বহুতল কিচেন মার্কেটে বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ ও আবাসন সংস্থান ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাৎ এ সকল মার্কেট একের মধ্যে দুই লক্ষ্য পূরণ করবে বাজার বিপনন ও আবাসন।
বাজেট অধিবেশনে আমরা ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ হাজার ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট ঘোষণা করি। এ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ২ হাজার ৪৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বাজেট বাস্তবায়নের হার ছিল ৪১ শতাংশ। তাই এবারের বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকায়। প্রস্তাবিত বাজেটে তিন ধরনের কর বাবদ মোট আয় ধরা হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে বকেয়া কর ও অভিকর খাতে সর্বোচ্চ ২১৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। হাল কর ও অভিকর খাতে ১৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং অন্যান্য কর বাবদ ১৩২ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় ধরা হয়েছে। এবারের বাজেটের ৮৩৪ কোটি টাকা যাবে বকেয়া দেনা পরিশোধে। উন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে ৮৮২ কোটি টাকা। আর বেতন-ভাতা এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪০ কোটি টাকা। বাড়ীর মালিকদের সময়মত গৃহকর দিয়ে সহযোহিতার আহ্বান জানাই। অটোমেশনের মাধ্যমে নাগরিকরা যাতে ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে কর দিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা চালু করব। নগরীকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে চাই আমরা।
ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর সাথে ইতিমধ্যে আমাদের একটি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নগরীতে ১০০টি ল্যাম্প পোস্টে সক্রিয় নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে এ চুক্তির আওতায়। নাগরিক নিরাপত্তায় ডিজিটাল নজরদারীর ব্যবস্থা, স্মার্ট স্ট্রিট লাইট, শব্দ দূষণ কমিয়ে আনা, স্মার্ট পার্কিং সুবিধা, শিক্ষার্থীদের জন্য রবি শাটল সেবা এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। অন্যান্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকেও আমরা একইভাবে স্বাগত জানাতে চাই।
একটা বিষয় আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে সরকারের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে নগর উন্নয়ন সম্ভব নয়। নগরবাসীর সহযোগিতা, চিন্তাচেতনা, মেধা ও সঠিক পরামর্শ এখানে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নগরীর বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সার উৎপাদন, যানজট নিরসনে মেট্রোরেল নির্মাণ ও ঠান্ডাছড়ি পার্ক উন্নয়ন, আউটার রিং রোডের পাশে সি সাইটে ওশান পার্ক ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নগরীর উন্নয়নে ঠিকাদাররা সরাসরি জড়িত। ঠিকাদারের সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতা না থাকলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজ করা সম্ভব নয়। ঠিকাদারদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় না থাকলে মানসম্মত কাজও সম্ভব হয় না। নগরীর উন্নয়নে ঠিকাদারদের আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
সবশেষে বলতে চাই, আসুন সকলেই নিজের শহরকে সুরক্ষিত, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে সচেতননতার সাথে নিজেদের সহযোগী হই। সিটি কর্পোরেশনের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়াই। আসুন, সকলে মিলে প্রজন্মের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময়, স্বস্তির চট্টগ্রাম মহানগর গড়ে তুলি।
সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু জননেত্রী শেখ হাসিনা।
লেখক : মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
এইচআর/এএসএম