বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা পুরো বিশ্ব। সেই সঙ্গে দিশেহারা পুরো দেশ। প্রতিদিন ভাঙছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। প্রাণঘাতি করোনার সংক্রমণ এড়াতে চলমান বিধিনিষেধে কর্মহীন হয়ে পড়েছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির নিম্নআয়ের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়িতে হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
Advertisement
করোনা মহামারিতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ১০ হাজার হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলাজুড়ে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যানমিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসেপ্রু চৌধুরী অপু, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, হিরনজয় ত্রিপুরা, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, শতরূপা চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কর্মসূচির প্রথমদিন মঙ্গলবার জেলার মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, রামগড় ও লক্ষীছড়ি উপজেলায় হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পাঁচ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবন ও ১ লিটার সয়াবিন তেল প্রদান করা হয়।
খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে জেলার হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ। সরকারের পাশাপাশি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অর্থায়নে আমাদের এই ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।’ এসময় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে জেলার মাটিরাঙ্গায় খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. হুমায়ুন মোরশেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুনুর রশীদ ফরাজী প্রমুখ ছাড়াও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/ইএ/এমএস
Advertisement