২৮ জন আরোহী নিয়ে রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান নিখোঁজ হয়েছে। বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার দেশটির জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ফার ইস্ট এলাকায় বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। খবর এএফপির।
Advertisement
এন-২৬ নামের ওই যাত্রীবাহী বিমানটি পেট্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি থেকে কামচাতকা উপদ্বীপের পালানার দিকে যাত্রা করেছিল। পরবর্তীতে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিমানটিতে ২৮ আরোহী ছিল যাদের মধ্যে ছয়জন ক্রু সদস্য। এছাড়া আরোহীদের মধ্যে এক বা দু'জন শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে। বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের খবর সামনে আসছে। একটি সূত্র তাস নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে, বিমানটি হয়তো সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। অপর একটি সূত্র বলছে, পালানা শহরের কাছে অবস্থিত কয়লা খনির কাছে হয়তো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমপক্ষে দুটি হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত বিমানটির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এক সময় বিমান দুর্ঘটনার জন্য পরিচিত থাকলেও গত কয়েক বছরে বিমান চলাচল সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। কিন্তু তারপরেই সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে দেশটিতে বড় ধরনের একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় মস্কোর বিমানবন্দরে সুখোই সুপারজেটের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪১ জন নিহত হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপর এক দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ৭১ আরোহীর সবাই নিহত হয়।
মাত্র একদিন আগেই ফিলিপাইনের একটি সামরিক বিমান ৯৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৪৯ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিমানটির আরোহীদের বেশিরভাগই ছিল সেনা সদস্য। আবু সায়াফের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগদানের জন্য বিমানটিতে করে যাচ্ছিলেন সৈন্যরা।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সেনা সদস্য। তবে নিচে থাকা তিনজন বেসমারিক লোকও নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় পাঁচজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। তবে বিমানে থাকা আরোহীদের তথ্য পাওয়া গেছে।
Advertisement
টিটিএন/এএসএম/জিকেএস