ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৭০৩ জন। চার মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ৩৫ হাজারের নিচে নামল সংক্রমণ। অপরদিকে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৫৩ জন। একদিন আগের তুলনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু অনেকটাই কমেছে। খবর এনডিটিভির।
Advertisement
বর্তমানে দেশটিতে দৈনিক সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। এছাড়া দৈনিক সংক্রমণের হার ২.১১ শতাংশ। ভারতে টানা ১৫ দিন ধরেই সংক্রমণের হার তিন শতাংশেরর নিচে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অপরদিকে গত ৫৪ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার বাড়ছে।
একদিন আগেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৯৬। একই সময়ে মারা গেছে ৭২৩ জন। দেশটিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। কয়েক মাস ধরেই দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ে যে পরিমাণ উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল তা গত কয়েকদিনে কিছুটা হলেও কমেছে। গত শুক্রবার দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা চার লাখ পার হয়ে গেছে।
বিশ্বে এর আগে করোনায় চার লাখ মৃত্যুর ভয়াল মাইলফলক পেরিয়েছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। আর আক্রান্তের সংখ্যায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৪ লাখ ৩ হাজার ২৮১ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬ লাখ ১৯ হাজার ৯৩২।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা গেছে কেরালায়। ওই রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৭। এরপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৪০।
এদিকে দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫৪ জন। গত ১৫ এপ্রিলের পর এই সংখ্যা সর্বনিম্ন। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৫ মার্চের পর এই সংখ্যা সবচেয়ে কম।
স্থানীয় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ লাখ ৪ হাজার ৯১৭। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ১৩৬ জন।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় তামিলনাড়ুতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭১৫ জন, কর্নাটকে ২ হাজার ৮৪৮ জন, ওড়িশায় ২ হাজার ৮০৩ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ২ হাজার ১শ জন এবং আসামে ২ হাজার ৬৪০ জন।
Advertisement
বর্তমানে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৭। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ কোটির বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
টিটিএন/জিকেএস/এএসএম