জাতীয়

সুপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে ঈদের সপ্তাহটি মোকাবিলা করা হবে

ক্রম অবনতিশীল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ ঈদুল আজহা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু কেনাবেচাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের জন্য বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতে পারে। সেটাও হবে সুপরিকল্পিতভাবে।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসন্ন ঈদের সপ্তাহটি ‘সুপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে মোকাবিলা’ করার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার (৫ জুলাই) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদটা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা দুই সপ্তাহ ধরে যে অর্জনটা করব, সেটা যেন তৃতীয় সপ্তাহে গিয়ে নষ্ট না হয় সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা ইতোমধ্যে শুরু করেছি।’

তিনি বলেন, ‘একটি সুপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আমরা ঈদের সপ্তাহটি ট্যাকেল করার চেষ্টা করব। আমরা দেখছি কীভাবে কী করা যায়।’

Advertisement

১৪ দিন বিধিনিষেধে সুফলতা পাওয়া গেলেও এর পরের কার্যক্রমও সুনিয়ন্ত্রিত ও সুপরিকল্পিত হবে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এ অবস্থাটা ঈদ পর্যন্ত রাখা গেলে ভালো হতো। আমাদের সবকিছু চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে। যদিও কিছুটা রিল্যাক্স (শিথিল) হয় সেটাও সুপরিকল্পিতভাবে হবে।’

সংক্রমণ মোটামুটি কমিয়ে আনতে এক মাস বিধিনিষেধ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে ঈদটা যেহেতু সামনে আছে সেটা খুবই সংযতভাবে আমাদের পার করতে হবে। তৃতীয় সপ্তাহটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা ধরেই আমরা কাজ করব। চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কীভাবে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করতে পারি সে পরিকল্পনা আমরা করছি।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সরকার গত ১ জুলাই থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। দেয়া হয় ২১টি নির্দেশনা। বিধিনিষেধের পাঁচদিন পার হতে চললেও এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ আগামী ১৪ জুন দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে চাঁদ দেখাসাপেক্ষ আগামী ২১ বা ২২ জুলাই দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

Advertisement

আরএমএম/এমআরআর/এমএস