অর্থনীতি

টিসিবির ট্রাকে দীর্ঘ লাইন

সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে শত শত মানুষের দীর্ঘ লাইল দেখা গেছে টিসিবির ট্রাক সেলের সামনে। সোমবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।

Advertisement

চলমান কঠোর লকডাউন এবং আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে আজ থেকে আবারও ট্রাক সেল চালু করছে টিসিবি। যদিও বিক্রি শুরুর প্রথম দিনে রাজধানীতে দুপুর পর্যন্ত টিসিবির ট্রাকের দেখা মেলেনি অধিকাংশ জায়গায়। দুপুরের পরে যেসব এলাকায় ট্রাক এসেছে সেখানেই ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়।

এর আগে সকাল থেকেই যেসব স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয় সেখানে দীর্ঘক্ষণ সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরে পণ্য পাওয়ার কারণে অনেকেই বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে রামপুরা এলাকায় টিসিবির ট্রাক এসেছে দেড়টায়। তারপর থেকে সেখানে দু-তিনশ মানুষকে লাইন ধরে পণ্য কিনতে দেখা গেছে। অনেকে দু-তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর পাচ্ছেন পণ্য।

Advertisement

সেখানে ডিলার মন্টু মিয়া বলেন, টিসিবির গোডাউন থেকে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না পাওয়ার কারণে তারা ঠিক সময় স্পটে পৌঁছতে পারেননি। গোডাউনে দীর্ঘ লাইন দিয়ে পণ্য নিতে দেরি হয়েছে।

এদিকে দুপুর পর্যন্ত খামারবাড়িতে টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষারত আছিয়া বেগম বলেন, সকাল থেকে সব কাজ ফেলে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো খবর নেই। ট্রাক আসবে কি-না সেটাও জানা যাচ্ছে না। না এলে পুরো দিন মাটি।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব, খামারবাড়ি ফার্মগেট ও এফডিসির মোড় ঘুরে টিসিবির ট্রাক পাওয়া যায়নি। তবে এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডার মতো দু-একটি এলাকায় ট্রাক পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছিলেন ডিলাররা।

এ দফায় দেশজুড়ে টিসিবির ৪০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে।

Advertisement

এসব ট্রাকে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা দরে চিনি ও ডাল এবং লিটারপ্রতি ১০০ টাকা দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যাবে সব পণ্য। একজন ব্যক্তি দৈনিক দুই থেকে চার কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও দুই থেকে পাঁচ লিটার ভোজ্যতেল কিনতে পারছেন।

সোমবার টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে ৭০০ কেজি চিনি, ৪০০ কেজি মসুর ডাল এবং ১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে। টিসিবির এ কার্যক্রম চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত।

এনএইচ/এমআরআর/এমকেএইচ